প্রায় ১২ লাখ সদস্যের ভারতীয় সেনাবাহিনী আকারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর জামানায় কোপ পড়তে চলেছে এই সেনাবাহিনীতেও। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। কারণ বাহিনীকে ছোট অথচ প্রযুক্তিতে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, আগামী দু’বছরের মধ্যে ৫০,০০০ জওয়ানকে ছাঁটাই করা হবে। তারপর ২০২২ থেকে ২৩-এর মধ্যে আরও প্রায় এক লাখ কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী রয়েছে সেনাবাহিনীতে। অনেক পদের কোনও প্রয়োজন নেই। আবার একই কাজ করে এরকম পৃথক পৃথক দপ্তরের অস্তিত্বও রয়েছে। তাই বাড়তি কর্মী ছাঁটাই করতে চায় মন্ত্রক।
এরজন্য গত বছর থেকে এই বাড়তি কর্মীর সংখ্যা জানতে ১১ সদস্যের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে এস সান্ধু। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে এই তালিকা নিয়ে আলোচনায় বসার কথা প্যানেলের সদস্যদের।
১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো সেনা অপসারণ করা হচ্ছে এবার। কারগিল যুদ্ধের আগে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিপি মালিক ৫০ হাজার সেনা ছাঁটাই করার কথা ভেবেছিলেন। কয়েকজন অদক্ষ পদাতিক সেনাকে বরখাস্তও করেছিলেন। এরপর সেনাসদস্যদের অদক্ষতার দিকে আর নজর দেওয়া হয়নি।
বিপিনের পরিকল্পনায় সেনাসদস্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে চলেছে।
জানা গেছে, পদাতিক সেনাদের কমান্ড ব্যাটালিয়ন পদে যোগ দেওয়ার জন্য বয়স হতে হবে ৩৬ থেকে ৩৭ বছর। একজন অফিসার ৪৫ বছর বয়সে ব্রিগেডিয়ার, ৫০ বছরে মেজর জেনারেল ও ৫৫ বছরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হবেন। সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত দপ্তরগুলি একীভূত করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন রাওয়াত।