ঘিঞ্জি হয়ে উঠেছে শৈলশহর দার্জিলিং। এখানে সবসময়ই নতুন কিছু আশা করেন পর্যটকেরা। তাই লালকুঠিকে ঘিরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই হবে ‘নতুন দার্জিলিং’। এখানে সরকারি পর্যায়ে টুরিস্ট লজ গড়ে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘নতুন দার্জিলিং’ তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিকের সামগ্রিক উন্নয়নে ত্রিস্তরীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার একটি স্বল্পমেয়াদি, একটি মধ্যমেয়াদি এবং অপরটি দীর্ঘমেয়াদি। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য এই পরিকল্পনা কীভাবে রূপায়িত হবে, তার অভিমুখ ঠিক করার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে দার্জিলিংয়ে জিটিএ’র সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকালে জিটিএ-এর সঙ্গে বৈঠকের আগে পায়ে হেঁটে দার্জিলিং পরিক্রমার সময় লালকুঠিতে যান মমতা। সেখানে জিটিএ’র সদর দপ্তর লালকুঠির সামনে বিস্তীর্ণ এক অংশকে ঘিরেই পর্যটনক্ষেত্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পর্যটকদের জন্য কটেজ এবং দার্জিলিং চৌরাস্তা থেকে ম্যালে হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কার করে পর্যটকদের চলাচল উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘিঞ্জি হয়ে ওঠা দার্জিলিংয়ের বিকল্প হিসেবে ‘নতুন দার্জিলিং’ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের ওই কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করবে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিধায়ক অমর সিং রাইকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের প্রস্তাবিত উন্নয়ন কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে আগামী ছ’মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিটি। সিঙ্কোনা চাষ, কৃষি, পর্যটন, আইটি হাব সহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে রিপোর্ট দেবে তারা। তাকদা, লাভা, লোলেগাঁও-সহ পাহাড়ের আরও কয়েকটি এলাকায় নতুন পর্যটন কেন্দ্রের জন্য জমিও খুঁজবে এই কমিটি। কলকাতায় ফিরে এই কমিটি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন মুখ্যসচিব’।