শাহরুখ খান, খুব কম লোকই আছে, যারা এখনও এই নামটির সঙ্গে পরিচিত নয়। তবে কেরিয়ারের শুরু থেকেই যে তিনি শাহরুখ ছিলেন বা বলিউড বাদশা ছিলেন, এমনটা কিন্তু নয়। দিনের পর দিন লড়াই করেই আজ তিনি শাহরুখ, বলিউডের কিং খান। এই লড়াইতেই একদম শুরু থেকে যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন, সদ্য তাঁদের মধ্যে একজনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। স্মরণ করেছেন নিজের বিবৃতিতে।
কে সেই ব্যক্তি? তিনি আর কেউ নন, খোদ সলমন খানের বাবা সেলিম খান। সম্প্রতি সলমনের ‘দশ কা দম’-৩ এর ফাইনাল রাউন্ডে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন শাহরুখ ও রানি মুখার্জী। এখানেই শাহরুখ তাঁর সাফল্যের নেপথ্যের গল্প বলেন। সলমনের বাবা প্রবীণ চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ৫২ বছর বয়সী শাহরুখ বলেন, ‘যখন আমি প্রথমবার মুম্বই এসেছিলাম, তখন একজন অভিনেতা হিসাবে আমার দিনগুলো ছিল সংগ্রামের। সে সময় সলমনের বাড়িতেই আমি খাবার খেয়েছি। সেলিম খানজি (সলমনের বাবা) আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছিলেন। একপ্রকার ওঁদের জন্যই আজ আমি শাহরুখ খান হয়েছি।’ একই সাথে শাহরুখ বলেন, ‘আমি এই শোয়ে এসেছি শুধুমাত্র সলমনের জন্য। ও আমাকে যেখানে যেতে বলবে আমি যেতে প্রস্তুত।’ প্রসঙ্গত, সলমনের বাবা সেলিম খান বলিউডের একজন খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার। ‘জঞ্জির’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘শোলে’-র মত সুপার হিট ছবির চিত্রনাট্যকার তিনি। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘করণ-অর্জুন’-এর মত ছবিতে সলমনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছেন শাহরুখ। পাশাপাশি সলমনের ‘টিউবলাইট’, ‘হর দিল যো পেয়ার করেগা’ ছবিতেও দেখা গেছে শাহরুখকে।
সলমন-শাহরুখ যে ভালো বন্ধু সেকথা বলিউডের প্রায় সবারই জানা, তবে মাঝে বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে সলমনের সঙ্গে শাহরুখের ঝামেলার জেরে দীর্ঘদিন কথা বন্ধ ছিল বলিউের এই দুই তারকার। তবে শেষপর্যন্ত সলমনের বোন অর্পিতা খান শর্মার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ। তারপরই তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগে। সলমনের শো-তে শাহরুখ, সলমন এবং রানি, তিনজনে মিলে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতি রোমন্থন করেন।
শাহরুখ এখন আনন্দ এল রাইয়ের ‘জিরো’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও অনুষ্কা শর্মা। এই ছবিতেই অতিথি শিল্পী হিসাবে দেখা যাবে সলমনকে। অন্যদিকে সলমন আবার ‘ভারত’ ছবিটি নিয়ে ব্যস্ত। যে ছবিতে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ক্যাটরিনা। রিয়ালিটি শো- এর সুবাদে আবারও বলিউডের করণ-অর্জুনকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে তাঁদের অনুরাগীরা যে ভীষণ খুশি, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই বোধহয়।