জঙ্গলমহল ছাড়া রাজ্যের অন্যত্র প্রায় সব জায়গাতেই ডিজিটাল রেশন কার্ড আগেই দেওয়া হয়েছে। এবার জঙ্গলমহলেও ডিজিটাল রেশন কার্ড চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এখনও পুরনো কাগজের রেশন কার্ড দেখিয়েই রেশন তোলেন জঙ্গলমহলের মানুষ। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই, এবার তড়িঘড়ি জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দিতে তৎপর হয়েছে খাদ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, জঙ্গলমহলের একজন মানুষও যেন রেশনের দুই টাকার চাল-গম পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন। তাই খাদ্যদপ্তর ঠিক করেছে, জঙ্গলমহলের যে সকল বাসিন্দাদের এখনও ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়নি, তাঁদের জন্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা করা হবে। যে ক্যাম্পগুলি থেকে ডিজিটাল কার্ড বিলি হবে, সেখানেই নতুন করে কার্ডের জন্য আবেদনপত্র নেওয়া হবে। ডিজিটাল রেশন কার্ড না পাওয়া গ্রাহকরা এইসব ক্যাম্পেই আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। ওই আবেদনপত্রের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দেখিয়েই আপাতত তাঁরা রেশন তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলা- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লক জঙ্গলমহলের অন্তর্গত। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে অব্দি, এই অঞ্চলে রেশন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, তার অনেকটাই কমেছে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, জঙ্গলমহলের সব মানুষকেই সস্তায় চাল-গম দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বরাদ্দের পরিমাণও আগের থেকে অনেক বেশি হবে। জাতীয় ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল-গম বরাদ্দ। যেখানে জঙ্গলমহলের জন্য বরাদ্দ মাথাপিছু ১২ কেজি করে। ওই পরিমাণ চাল-গম জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জঙ্গলমহলের সব বাসিন্দা পেয়ে থাকেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, জঙ্গলমহলের ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া নিয়ে কাল, বৃহস্পতিবার খাদ্যদপ্তর এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার।