অবসর সময়ে কলকাতা ডার্বির ভিডিও দেখছেন। জীবনে অনেক বড় ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু, সব হাইভোল্টেজ ম্যাচের গুরুত্বই তঁার কাছে সমান। কোনও বড় ম্যাচকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে নারাজ।
রবিবারের ম্যাচে তঁাকে ঘিরেই ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন লাল–হলুদ সমর্থকরা। সেটা তিনি বেশ ভালই অনুভব করছেন। রবিবারের ম্যাচের জন্য বিপক্ষের ম্যাচের ভিডিও দেখে হোমওয়ার্ক সেরে রাখছেন জনি অ্যাকস্টা।
দুপুর থেকেই আইএফএ–র সামনের রাস্তায় সংবাদমাধ্যমের ভিড়। তা দেখে উৎসাহী জনতাও ভিড় জমিয়েছেন। প্রশ্ন, ‘দাদা কে আসছেন?’
বিকেল চারটে বাজতে মিনিট পঁাচেক আগে আইএফএ–তে সইয়ের জন্য পৌঁছন লাল–হলুদের তারকা বিদেশি। হাজির সংবাদমাধ্যমের হুটোপাটি দেখে মিটিমিটি হাসছিলেন। ঘর ভর্তি সাংবাদিক বৈঠকে স্বীকারও করে নেন, জীবনে অনেক মিডিয়া সামলেছেন। কিন্তু, কলকাতায় তঁাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এত আগ্রহ, আগে দেখেননি। যদি ইংরেজি বুঝতেন, সংবাদমাধ্যমের আরও বেশি ‘অত্যাচার’ হয়তো সহ্য করতে হত।
ইংরেজি না জানলেও কাজ করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। জানান অ্যাকস্টা। তবে, আই লিগের আগে অ্যাকস্টার জন্য ক্লাবে একজন দোভাষী রাখার পরিকল্পনা করছেন কোয়েস কর্তারা। দোভাষী রাখলে কাজের সুবিধে হবে। কোয়েস কর্তারা কোনও খুঁত রাখতে রাজি নন।
ডার্বির আগে অ্যাকস্টার মুখে ‘আমি নয়, আমরা’ স্লোগান। নানা প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বকাপারের মুখ থেকে বেরিয়েছে, ডার্বি জিততে টিমের সবাইকে উজাড় করে দিতে হবে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারদের আটকেছেন। এবার রবিবার তঁাকে সামলাতে হবে ডিপান্ডা ডিকা, হেনরি কিসেকাদের। রবিবারের যুদ্ধে কাজটা সহজ? ঘাড় নেড়ে অ্যাকস্টা বলেন, ‘শুধু নেইমার নয়, সমস্ত ফুটবলারকে আটকানোই কঠিন। সব ম্যাচই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নেইমারকে আটকানো, ডিপান্ডাকে আটকানো দুটোর মধ্যেই পার্থক্য আছে। কিন্তু, সহজ নয়।