আলিমুদ্দিন এখন ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ তত্ত্বে আস্থা রেখেছে। সারা দেশেই অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে সিপিএম। কার্যত সাইনবোর্ডের অবস্থা তাদের। তাই নিজেদের টিকিয়ে রাখতেই কোনওভাবে কংগ্রেসকে হাতছাড়া করতে রাজি নয় তারা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখেই ভোটে লড়তে চাইছে সিপিএমের বঙ্গ শিবির।
বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলেও কীভাবে এর বাস্তবায়ন হবে তাই নিয়ে দিশেহারা সিপিএম। কারণ, কোনওভাবেই আগ বাড়িয়ে কংগ্রেসের কাছে জোট প্রস্তাব পাঠাতে নারাজ সিপিএম। ফলে বাম-কংগ্রেস সখ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেছে সিপিএমের অন্দরেই।
তাই বাম নেতারা ঠিক করেছেন, আগামী দিনে যে কোনও মোদী বিরোধী কর্মসূচীতে কংগ্রেসের শাখা সংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এভাবেই রাজনৈতিক মহলে জোটের ছবি স্পষ্ট করতে চাইছে তারা।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র বিরোধী ১৫ দফা ইস্যুতে দিল্লীতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সিপিএমের শ্রমিক শাখা সিটু এবং কৃষক সংগঠন এআইকেএস। এরপরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের সর্বভারতীয় কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আমাদের এই লড়াই আন্দোলনে অন্য দলের সংগঠনগুলিও সামিল হবে’।
লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক কৌশলগত লাইন গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পলিটব্যুরো বৈঠকে বসতে চলেছে সিপিএম। সেখানেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, সীতারাম ইয়েচুরির সামনেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ ব্রিগেড। এটাই তাতাচ্ছে কারাত শিবিরকে। প্রধানত একে কেন্দ্র করেই দল আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সিপিএম নেতারা।