সুন্দরবনের বাসন্তীতে তৃণমূলকে আটকাতে মিলে গেল রাম-বাম। বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েত আরএসপি এবং সিপিএমের দখলে ছিল। গত পঞ্চায়েতেও আরএসপি এই পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল। পরে সেই বোর্ড ভেঙে যায়। তৃণমূল বোর্ডের দখল নেয়। এবার তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি এবং বামেরা বোর্ডের দখল নিল। প্রধান হয়েছে বিজেপির। উপপ্রধান পদ দেওয়া হয়েছে আরএসপিকে। রাজ্য জুড়ে বাম-রাম এভাবে মিলে যাওয়ায় সীতারাম ইয়েচুরি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে যারা দলীয় নীতি মানছেন না, তাঁরা শাস্তি পাবেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, দলীয় নেতৃত্বকে থোড়াই কেয়ার করেন নীচু তলার কর্মী- সমর্থকেরা।
উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন। নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ৫টি। বিজেপি পায় ৬টি। আরএসপি এবং সিপিএমের প্রার্থীরা একটি করে আসনে জয় লাভ করে। কিন্তু বোর্ড গঠনের ভোটাভুটির সময় বাম দলের দু’জন সদস্য সমর্থন করে বিজেপিকে। ফলে বামেদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান হন বিজেপির নমিতা সর্দার। আর উপপ্রধান হন আরএসপির সামসুদ্দিন শেখ।
বিজেপির পূর্ব জেলার সম্পাদক সুনীপ দাস সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূলকে রোখাই এই জোটের উদ্দেশ্য। উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েত গঠনের পর এলাকায় লাল ও গেরুয়া আবির মেখে মিছিলও করে বিজেপি এবং বামেরা। এদিকে, জয়নগর ২ ব্লকের সাহাজাদাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েতের মোট ১৪ টা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৫টা আসন। নির্দলরা পেয়েছে ৪টে আসন। আর বাকি ৫টা আসন পেয়েছে তৃণমূল। এদিন বোর্ড গঠনের সময় নির্দলরা বিজেপিকে সমর্থন জানায়।