কেরলের বন্যাত্রাণে আমিরশাহির ৭০০ কোটি টাকা সাহায্যের প্রস্তাব ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। আমিরশাহির আর্থিক সাহায্যের এই প্রস্তাব ঘোষণা করেছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্বয়ং। কিন্তু সেই আর্থিক সাহায্যের অস্তিত্ব ঘিরেই উঠছে হাজার প্রশ্ন। কারণ, ভারতে সংযুক্ত আরব আমীরশাহি দূতাবাসের এক কর্তা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ কেরালার জন্য এখনও কোনও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেনি। ভারত সরকারের সঙ্গে কথাও হয়নি তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ‘৭০০ কোটি’র গল্প এল কোথা থেকে?
আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত আহমেদ অলবেনাম বলেছেন, কেরলে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণে সহযোগিতার জন্য তাঁদের সরকার একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু আর্থিক সহায্যের প্রস্তাব সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি অলবেনাম। তবে দূতাবাসের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, কেরলে আর্থিক কিংবা অন্যান্য সাহায্যের বিষয়ে ভারত সরকারকে এখনও কোনও প্রস্তাব পাঠায়নি আমিরশাহি। যদিও ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে কেরলে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই মন্তব্য সামনে আসতেই একে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ৭০০ কোটির গল্প তৈরি করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে বিরোধীরা। ব্যালট বক্সে হারাতে না পেরে নোংরা ষড়যন্ত্রের খেলায় নেমেছে ওরা।
প্রসঙ্গত, আরব আমিরশাহিতে ৩০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই কেরালাবাসী। গত ১৮ আগস্ট আমিরশাহির প্রধানমন্ত্রী তথা দুবাইয়ের রাজা শেখ মহম্মদ বিন রশিদ অল মাক্তৌম একটি ট্যুইটে কেরলের বন্যাদুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেরলে ত্রাণকার্যে সাহায্যের জন্য একটি ইমারর্জেন্সি কমিটিও গঠন করেছে তাঁর সরকার। আমিরশাহির সকল নাগরিককে সরকারের এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার আর্জিও রেখেছিলেন তিনি। ঠিক এর পরের দিনই কেরলের বন্যাত্রাণে আমিরশাহি ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।