বাংলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে যে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ নিয়ে বিতর্ক, সেই সব আসনে ফল ঘোষণা করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ শুক্রবার দুপুরে এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এই রায়ে বিরাট জয় পেল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাম-রামের মুখে ঝামা ঘষে কোর্টের রায়ে উড়ল মানুষের জয় পতাকা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ৩৪ শতাংশ আসনে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট।
ফল ঘোষণার পরে যদি কেউ সেই ফল মানতে না চান, তাহলে তাঁরা নির্বাচন ট্রাইবুনালে অভিযোগ জানাতে পারেন। ৩০ দিনের মধ্যে এই পিটিশন দাখিল করতে হবে। অনলাইন বা ইমেলে মনোনয়ন দাখিল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি আইনের মধ্যে নেই। তাই কলকাতা হাইকোর্টের এই সংক্রান্ত রায়কে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে বিনা লড়াইয়ে জেতা আসনগুলি নিয়ে এবার আর কোনও ধোঁয়াশা রইল না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার সেই আসনগুলির ফল ঘোষণা করে দিতে পারে। সেই ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগকারীরা নির্বাচন ট্রাইবুনালে যেতে পারবেন।
এদিনের রায়ের মূলত দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আলাদা করে কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। বিরোধীদের অভিযোগ শুনেও তাতে বিশেষ আমল দেয়নি শীর্ষ আদালত। রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রায়ে বলেছে, জয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা যাবে। এবং দ্বিতীয়ত, আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নাম নোটিফাই করলে তারপর বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ইলেকশন ট্রাইবুনালে ফের অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেখানে তাদের অভিযোগের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণে বিরোধীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম ও বিজেপি। সেই মামলার শুনানির পরে শীর্ষ আদালত শুক্রবার এই রায় দিল।