ডেটা সায়েন্সের একটা কনফারেন্সের জন্য লন্ডন গেছিলাম গত শনিবার। রোববার সকাল সকাল ভেন্যুতে পৌঁছে দেখি লোকে লোকারণ্য – দিনভর অনেক জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা শুনলাম। বিকেলে বেরোতে যাবো – আকষ্মিকভাবে পুরোনো বন্ধু ইন্দ্রজিতের সাথে দেখা বহুদিন পর। “বন্ধু, কি খবর বল” বলে পাশের একটা লেবানিজ রেস্তোরাঁয় ঢুকে স্মৃতিচারণ করতে করতে দুজনে হামাসে ডুবিয়ে পিটাব্রেড দিয়ে কাবাব খাচ্ছি। হটাৎ ইন্দ্রজিত জিগ্যেস করলো – “লর্ডসের ভিতরের একটা ট্যুর হয় – যাবে নাকি?” দুজনেই ক্রিকেট খেলার ঐতিহ্য এবং ইতিহাসকে ভালোবাসি আর একদা প্রচুর চর্চাও করতাম একসাথে । ক্রিকেটের সবথেকে ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে যাবার এরকম সুযোগ এবং সঙ্গ বোধহয় আর হবে না। তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে বুধবারে লর্ডসে যাবার প্ল্যান এবং টিকেট দুটোরই ব্যবস্থা হয়ে গেলো।
বুধবার লাঞ্চের পরে কনফারেন্সে হাফ-ডে মেরে বেরিয়ে পরলাম দুজনে। লন্ডনের প্রসিদ্ধ রেল নেটওয়ার্ক ছকে নেওয়া হয়েছে – একদম মাখনের মতো ব্যাপার। ডকল্যান্ড থেকে প্রথমে ডি.এল.আর. ধরে ক্যানিং টাউন আর সেখান থেকে প্ল্যাটফর্ম পাল্টে আন্ডারগ্রাউন্ড ধরে যেতে হবে সেন্ট জনস উড স্টেশনে – তারপর মিনিট দশেক হাঁটলেই মক্কা। উত্তেজনায় আমরা বেশ তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়েছিলাম – আন্ডারগ্রাউন্ডে উঠে বুঝলাম নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক আগেই পৌঁছে যাবো। সেন্ট জনস উডের আগের স্টেশনটার নামটা দেখলাম বেকার স্ট্রিট। সময় আছে দেখে নেমে অল্প হেটেই ২২১বির দরজায় পৌঁছে গেলাম দুজনে। কড়া নাড়িয়ে দেখলাম যদি পাইপ মুখে কেউ বেরিয়ে আসেন। সেখান থেকে গুগল ম্যাপস দেখে মৃদুমন্দ গতিতে হাঁটতে শুরু করলাম লর্ডসের দিকে। গল্পে গল্পে খেয়াল ছিল না – হঠাৎ মোড় ঘুরতেই সামনে দেখি একটা স্টেডিয়াম। ফ্লাডলাইট আর গ্যালারির অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে। ছোটো ছোটো টিকিটঘর, রংচটা দেওয়াল। উল্টোদিকে একটা বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির বেশকটা বারান্দায় ভেজা জামাকাপড় শুকোচ্ছে। ইডেন গার্ডেন্সকে প্রথমবার দূর থেকে দেখে যেমন সমীহে বুকটা ভরে যায়, সেরম কিছুই লাগলো না। দুজনে দৃষ্টি বিনিময় করলাম “এটাই তো?” “তাই তো মনে হচ্ছে” “চলো ঢোকা যাক”। কিঞ্চিত আশাহত হলাম যেনো।
মোবাইলের টিকিট দেখিয়ে সনাক্তকরণের জন্য একটা স্টিকার বুকে লাগিয়ে নিতে হলো। সাহেব সিকিউরিটি গার্ডদের সামনে দিয়ে বুক চিতিয়ে ঢুকলাম। সেদিন সকালেই নটিংহ্যাম টেস্টে ইন্ডিয়া দুশো রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। আধ ঘন্টা আগে পৌঁছে গেছি -সিকিউরিটির লোকেরা বললেন যে ট্যুর শুরু হবে দুটোর সময়। ততক্ষণ আমরা এম.সি.সি. মিউজিয়ামে সময় কাটাতে পারি। সেখানে ঢুকে বুঝতে পারলাম কেন লর্ডসকে দা হোম অফ ক্রিকেট বলা হয়। দুই কামরার এই মিউজিয়ামে দুই শতকের ক্রিকেট ইতিহাসের দুর্লভ অনেক স্মৃতি ধরা রয়েছে। ১৮৮৪র এম.সি.সি.র ছাপানো দুপয়সা দামের ক্রিকেটের নিয়মাবলির বই, বিংশ শতকের শুরুতে ভিক্টর ট্রাম্পের জন্য হাতে বানানো প্যাড, ১৯৩৪ সালের মহিলাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচের রিপোর্ট, ডগলাস জাৰ্দিনের ছবি, জিম লেকারের ১৯ উইকেটের স্কোর কার্ড আর দুই ইনিংসের দুটো বল, ভিভিয়ান রিচার্ডসের সমারসেট ক্লাবের নিয়োগপত্র, কপিলদেবের প্রুডেন্সিয়াল কাপ – কি ছেড়ে কি দেখবো আর পড়বো! কিংবদন্তির সেই ছোটো বাচ্চাটার মতো অবস্থা যে ভাগ্যক্রমে অফুরান চকলেট আর আইসক্রিমের দোকানে পৌঁছে গেছে। দুই চোখ দিয়ে দেখছি আর মোবাইলের ক্যামেরায় ধরে রাখছি ভবিষ্যতের স্মৃতি হিসেবে। একদম ঘড়ি ধরে দুটোর সময় ট্যুরগাইড চলে এলেন – সবাইকে সমবেত করে বলে দিলেন ট্যুরে কি কি দেখা হবে, কোথায় ছবি তোলা যাবে আর কোথায় যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। জনাকুড়ির দল আমরা – ইন্ডিয়া, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া থেকেই সিংহভাগ, একজন নিউজিল্যান্ডের আর একজন আমেরিকার। গাইড সাহেব অসাধারন গল্পবলিয়ে -অ্যাসেজের গল্প দিয়ে শুরু করলেন। ১৮৮২ সাল: প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের মাটিতে ওভালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গেছে। নাকুউঁচু সাহেবদের আঁতে বড়ই আঘাত লেগেছে। বিকেলের চায়ের আড্ডা থেকে রাতের হুইস্কির ঠেক – সব জায়গাতেই ইংলিশ ক্রিকেট টিমের ময়না হচ্ছে। সব ছাড়িয়ে গেল দা স্পোর্টিং টাইমস সংবাদপত্র – ম্যাচের পরেরদিন ইংলিশ ক্রিকেটের বিদ্রুপাত্মক মৃত্যুবার্তা ছাপিয়ে দিলেন তারা। তাতে লেখা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে অস্থিভস্ম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নাকি অস্ট্রেলিয়ায়। এই তীব্র সমালোচনায় আঘাত পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের তদানীন্তন অধিনায়ক আইভো ব্লাই। বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় রিটার্ন সিরিজে যাবার জন্য জাহাজে চড়ার আগে বুক ঠুকে বলেছিলেন – আস্থিভস্ম তথা অ্যাসেজ ফেরত আনতে যাচ্ছি। কয়েকমাস পরে তিনটে টেস্টম্যাচের দুটো জিতে ইংল্যান্ড সেই সিরিজ নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। জয় উপলক্ষ্যে ফ্লোরেন্স মারফি নামক মেলবোর্নের জনৈক মহিলা উইকেটের বেল পুড়িয়ে ছোট্ট (ইঞ্চি তিনেক লম্বা) এক কলসাকার পাত্রে ছাই উপহার দেন ব্লাইকে। এই ঘটনার অল্পকিছুদিন পরে ব্লাই নাকি ম্যাডাম মারফিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে বিলেতে নিয়ে আসেন। লোকমুখে প্রচার হয়েছিল যে ব্লাই অস্ট্রেলিয়া থেকে শুধু ছাই নয়, আগুনও নিয়ে এসেছিলেন। অ্যাসেজ সিরিজের বিজয়ীকে আজও পুরস্কার হিসেবে সেই কলসাকার পাত্রের এক বড়োমাপের প্রতিরূপ দেওয়া হয় যদিও তাতে ছাই ভরা থাকে কিনা জানা নেই।
মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে একটা ছোট পার্কের পাশ দিয়ে মোরামের রাস্তা ধরে অল্প হাঁটলেই আসবে ঐতিহাসিক প্যাভিলিয়ন বিল্ডিং। ঢোকার আগে গাইড সাহেব পই পই করে বলে দিলেন যে এখানে সীমিত কিছু জায়গা ছাড়া ছবি তোলা নিষিদ্ধ। প্যাভিলিয়ন বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরেই ঐতিহ্যময় লং রুম – বিরাট লম্বা একটা ভিক্টোরিয়ান ছাঁদের ঘর যার মাঝখান দিয়ে রাখা ভারী কাঠের ডাইনিং টেবিল। টেবিলের পাশে চেয়ারে বসলে সামনের কাঁচের দরজা দিয়ে প্রথম দর্শন পাওয়া যায় লর্ডসের সবুজ গালিচার। দরজার বাইরে ৮-১০ সারি গ্যালারি আর তারপরেই মাঠ শুরু। প্রায় শতিনেক এম.সি.সি.র মেম্বার লংরুমে বসে একসাথে খেলা দেখতে পারেন। স্ট্রিক্ট ড্রেসকোড মেনে চলতে হয় – খেলার দিনগুলোতে কোট টাই জুতো মোজা ছাড়া ঢোকা যায় না। লংরুমের দেওয়ালে কিছু অমুল্য ছবি রয়েছে – ডাব্লু.জি.গ্রেস থেকে শুরু করে লর্ডসের প্রতিষ্ঠাতা থমাস লর্ডসের। দুইপ্রান্তের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গেলে প্লেয়ারদের ড্রেসিংরুম – একদিকে হোম টিম ইংল্যান্ডের আর একদিকে ভিজিটিং টিমের। লর্ডসের প্রথা হলো ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিংরুম থেকে নেমে লংরুমের উপবিষ্ট মেম্বারদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। ডেভিড স্টিল নামক জনৈক ইংলিশ ব্যাটসম্যান নাকি ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ম্যাচে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে টেনশনের চোটে বেসমেন্টে শৌচালয়ে পৌঁছে গেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা নামার সময় মেম্বাররা নাকি “সি ইউ সুন” বলে আওয়াজ দিয়ে থাকেন।
লংরুমের দুরপ্রান্তের দরজা দিয়ে বেরিয়ে চকচকে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলেই ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুম। প্রায় আড়ম্বরহীন একটা ঘর – চারপাশ দিয়ে কাঠের সোফার ওপর রেক্সিনের বসার জায়গা করা আছে। দুপাশের দেওয়ালে দুটো বোর্ড টাঙানো – যতজন ইংলিশ খেলোয়াড় লর্ডসে টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন একটা বোর্ডে তাদের নাম আর যতজন বোলার এক ইনিংসে ৫ উইকেট বা এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তাদের নাম খোদাই করা রয়েছে। গাইড সাহেব বলছেন কোন প্লেয়ার কোথায় বসতেন, খুলে দিলেন ব্যালকনির দরজা – ব্যালকনি দিয়ে সবুজ মাঠ যেন আরো নয়নাভিরাম লাগছে। ব্যালকনিটাও চেনা চেনা লাগছে – কিন্তু এটা তো ওদের ব্যালকনি। আমাদেরটা কোথায়? করিডর দিয়ে দোতলার অন্য প্রান্তে গেলে ভিজিটরস ড্রেসিং রুম – একদম অন্যটির মতো, কোনো ফারাক নেই। ব্যাটসম্যান আর বোলারদের দুটো বোর্ডও একইরকম। গাইড সাহেব বললেন যেহেতু অন্য দেশের খেলোয়াড়রা ইংলিশ খেলোয়াড়দের তুলনায় লর্ডসে কম খেলার সুযোগ পান তাই অনেক বিখ্যাত ব্যাটসম্যানদের নাম নেই – রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিস, সচিন তেন্ডুলকর ইত্যাদি। পাশ থেকে এক ভারতীয় ফুট কাটলেন অজিত আগরকার কিন্তু আছেন। ব্যালকনির দরজা খুলে দিলেন আমাদের যাবার, দেখার আর ছবি তোলার জন্য। সামনে সবুজ গালিচা, ডান দিকে দূরে পুরোনো ম্যানুয়াল স্কোরবোর্ড আর তারওপর বায়ুবেগ আর দিশা মাপার যন্ত্র। পাশেই ডানদিকে সেন্টার ব্যালকনি – চোখ বুজে মনে মনে ১৯৮৩র ব্লেজার পরা কপিল দেব আর মোহিন্দার অমরনাথদের প্রুডেন্সিয়াল কাপ হাতে ছবিটা ভাবার চেষ্টা করলাম। নিচে নামার সিঁড়ির দুধারে অনেক খেলোয়াড়ের পোর্ট্রেট আঁকা – ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন “কর্নেল” বেঙ্গসরকার, বিষণ সিং বেদি আর কপিল দেব।
প্যাভিলিয়ন থেকে বেরিয়ে পরের গন্তব্য স্টেডিয়ামের গ্যালারি। একদম নিচের টিয়ারে বসে গাইড সাহেব দেখালেন লর্ডসের প্রখ্যাত স্লোপ বা ঢাল। প্যাভিলিয়ন এন্ডের বাম দিকের কোনা থেকে ডান দিকের কোনার মধ্যে নাকি ছয় ফুটের ওপর ঢাল রয়েছে। খেয়াল করে দেখলে খালি চোখেও ঠাহর করা যায়। ম্যাকগ্রা, অ্যান্ডারসনের মতো বোলাররা নাকি সেটা কাজে লাগিয়ে তাদের ইনসুইংগুলো আরো মারাত্মক করে তুলতেন। আর একটা অদ্ভুত জিনিস – যেখানে গ্যালারি শেষ, সেখানেই মাঠ শুরু। আমাদের দেশের স্টেডিয়ামগুলোর মতো কোনো বিরাট কাঁটাতারের বেড়া নেই। গ্যালারির শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ঘাস আর বাউন্ডারির দড়িটা একবার ছুঁয়ে ট্যুরের শেষ গন্তব্য মিডিয়া হাউসের প্রতি হাঁটা দিলাম সবাই মিলে।
চারতলার ওপরে পুরো কাঁচ দিয়ে ঘেরা মিডিয়া রুম লর্ডসের অন্যতম নতুন সংযোজন। শতখানেক সাংবাদিক একসাথে বসে ম্যাচ কভার করতে পারেন। ওপরের তলায় টেলিভিশন এবং রেডিওর ভাষ্যকারদের বসার জায়গা। প্রত্যাশিতভাবেই মাঠের সর্বোত্তম ভিউ পাওয়া যায় এই মিডিয়া রুম থেকে। নিচে নেমে গাইড সাহেব আমাদের দেখিয়ে দিলেন স্যুভেনির শপ আর জানালেন দেড়ঘন্টার ট্যুর এখানেই শেষ। খান দুয়েক স্মারক কিনে বেরোবার গেটের দিকে হাঁটতে থাকলাম।শেষবারের মতো একবার প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে গেলাম চোখ বুজে। লংরুমের আবহাওয়া থমথমে। সম্ভ্রান্ত আর মার্জিত কোট টাই টুপি পরা সাহেব আর ফ্রক স্কার্ট পরা মেমদের মুখে কোনো কথা নেই। এম.সি.সি. মেম্বাররা নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। ফ্রেডি ফ্লিন্টফের টিম ৩২৫ রান করেও হেরে গেলো! ভিজিটরস ড্রেসিং রুম থেকে একগুচ্ছ পায়ের আওয়াজ সিঁড়ি দিয়ে নামছে। তাদের জয়োল্লাস ক্রমশঃ কাছে আসছে। সবার আগে অনাবৃত উর্ধাঙ্গে এক খয়েরি চামড়ার যুবক তার নীল জামার ধ্বজা উড়িয়ে চলেছে। পিছনে তার অনুগামীরা। তাদের ঔদ্ধতে লং রুমের উন্নাসিকতা ছত্রখান হয়ে গেলো আজ।
ডঃ শৌর্য রায়
জন্ম ১৯৭৭-এ – স্নাতকোত্তর লাভ পর্যন্ত পড়াশুনা কলকাতার হিন্দু স্কুলে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গত প্রায় কুড়ি বছর ধরে শৌর্য রায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ.আই.) এবং তার প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। এই বিষয়ে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে ডকটরেট ডিগ্রি উপার্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানির একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ.আই. ল্যাবের কর্ণধার হিসেবে নিযুক্ত আছেন।
শৌর্য তার স্ত্রী সোনালী এবং পুত্র কন্যার সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। অবসর সময়ে তিনি বার-বি-কিউ রান্না, স্মোকি হইস্কির চর্চা আর বাংলা ব্লগ “ভীমরতি” (https://bhimroty.wordpress.com) নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।