রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য রয়েছে। সমস্ত ছাত্র সংসদও টিএমসিপির দখলে। দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ২৮ আগস্ট মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল। সেখানেই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র সংসদগুলিকে কাজে লাগিয়ে দেশের বৃহত্তম ছাত্র জমায়েতের রেকর্ড গড়তে চাইছে তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও রাজ্যের উন্নয়নের বার্তাবাহক হিসেবে সাংগঠনিক স্তরে ছাত্র-যুব সমাজকে সক্রিয় করার পক্ষে। দলের সাংগঠনিক স্তরের বৈঠকে তিনি এই তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগানোর উপর জোর দিয়েছেন। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ছাত্র সমাবেশ। এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস তৃণমূলের কাছে সংগঠনগতভাবেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতির গুরুত্ব বিচারে করেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই বার্ষিক জমায়েত এবার বাড়তি মাত্রা পেতে চলেছে। তাই ছাত্র সমাবেশ হলেও তার রাশ হাতে নিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেসের এনএসইউআই কিংবা সঙ্ঘ পরিবারের এবিভিপি সারা দেশেই ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে বামেদের বিকল্প হিসেবে বিজেপির উত্থান হলেও, ছাত্র সমাজে এখনও সুবিধা করতে পারেনি কেন্দ্রের শাসকদলের অনুগত এবিভিপি। সেই অর্থে গেরুয়া শিবিরকে রুখতে টিএমসিপির ভূমিকা তৃণমূলের পক্ষে সদর্থক। সেই লক্ষ্যেই এবার দেশের অন্য সব প্রধান ছাত্র সংগঠনকে জমায়েতের নিরিখে টেক্কা দিতে জোর কদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছেন অভিষেক। স্বভাবতই মমতার ৪২ আসন জয়ের আবেদনের বাস্তবায়নে টিএমসিপির তথা যুব শাখার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই কর্মসূচির প্রস্তুতিপর্ব থেকেই অভিষেক চালকের আসনে।