বড় শিল্পের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু ছোট শিল্প বেড়ে ওঠার সীমা নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কারণেই বাংলার কর্মসংস্থানের সমস্যা অনেকটা মিটেছে। কর্মসংস্থানমুখী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সারা দেশে এক নম্বরে করাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য। তাই জেলানির্ভর ছোট শিল্পগুলিকে বেড়ে ওঠার জন্য সবরকম সাহায্য করছে রাজ্য সরকার।
শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেশের এক নম্বর। এবার বাংলার ছোট শিল্পকে সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা দেখতে চাই’।
বিশ্বসেরার লক্ষ্যে বড় শিল্পের মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও চালু করা হচ্ছে ‘এক জানলা নীতি’। তাঁত শিল্পীদের সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দমকলের শংসাপত্র পেতে ৩৪ শতাংশ দাহ্য পদার্থ মজুত রাখতে হত। এবার থেকে ব্যবসায়ী এবং উদ্যোগপতিদের সবার্থে ৩ শতাংশ টকা জমা রাখলেই দমকলের শংসাপত্র মিলবে’।
চা এবং হোম স্টে টুরিজমকে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যের ভাবনা-চিন্তার কথা জানিয়েছেন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়ে বলেন, ‘প্রতি বছর ৬ লক্ষ্য যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। এর মধ্যে এক হাজার উদ্যোগী তৈরি হলেই অনেকখানি সার্থকতা’।