শুরু থেকেই অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রবিবার, বিশ্ব মানবতা দিবসে একটি টুইটে তালিকায় নাম না থাকা অসমের সেইসব মানুষদের জন্য নিজের সমবেদনা জানালেন তিনি। লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব মানবতা দিবস। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি। এমন দিনে, এনআরসি-র কারণে নিজের দেশেই শরণার্থী হয়ে যাওয়া ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য আমার হৃদয় ব্যথিত।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্বাস্তু, অনুপ্রবেশকারী বানাচ্ছে বিজেপি। জানিয়েছেন, মোদী সরকারের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মানুষের হয়ে তিনি প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ও আগামিদিনেও হবেন। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-কে তাদের অস্ত্রেই ঘায়েল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অসমের ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৫ লক্ষ হিন্দু বাঙালি, ১৩ লক্ষ মুসলমান বাঙালি ও ২ লক্ষ মানুষ বিহারি, নেপাল ও অন্যান্য মিলিয়ে রয়েছেন। এদের চক্রান্ত করে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
শরণার্থীদের কথা বলে জাতিসংঘের রেজোলিউশনের প্রসঙ্গ টেনে মমতা আগেই বলেছিলেন, অন্য কোথাও সমস্যা হলে অন্য দেশে বা রাজ্যে যদি কেউ আশ্রয় গ্রহণ করে তাহলে তাদের আশ্রয় দিতে সরকার বাধ্য থাকে। আর অসমে যে মানুষদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ কাট অব ডেটের আগেই এসেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপি অসমে এসব করে গন্ডগোল পাকাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে দেশ স্বাধীনের সময়ে জওহরলাল নেহরুর সময়ে চুক্তি ও ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির কথা উল্লেখ করেন মমতা। বলেন, ‘যাঁরা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে এদেশে এসেছেন তাঁরা অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক। বিজেপির কথায় তাঁরা নাগরিকত্ব হারাতে পারেন না।’ এদিন নিজের দেশেই অতিথি হয়ে যাওয়া সেই মানুষদের হয়েই ফের গলা তুললেন মমতা।