রাজ্যে আরও ছ’টি নতুন কৃষি ব্লক তৈরি হল। নতুন ব্লকগুলির জন্য মোট ৩০ জন আধিকারিক ও কর্মীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কৃষি দপ্তর সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। রাজ্যে মোট ৩৩৯টি কৃষি ব্লক ছিল। তা বেড়ে ৩৪৫টি হচ্ছে।
গ্রামীণ এলাকায় কৃষি দপ্তরের কাজকর্ম চালানোর জন্য ব্লক রয়েছে। প্রশাসনিক ব্লকের থেকে কৃষি ব্লকের সংখ্যা কিছু বেশি। রাজ্যে প্রশাসনিক ব্লক আছে ৩৪১টি। নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন কৃষি ব্লকগুলি সৃষ্টি করা হয়েছে। নদীয়া জেলার করিমপুরে একটি কৃষি ব্লক ছিল। সেটা ভেঙে করিমপুর ১ এবং ২ কৃষি ব্লক হল। বর্ধমান সদর ব্লক ভেঙে বর্ধমান ১ এবং ২ কৃষি ব্লক সৃষ্টি করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল কৃষি ব্লক ভেঙে অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লক করা হল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লক ভেঙে নতুন হরিরামপুর ব্লক করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার দু’টি কৃষি ব্লক খড়িবাড়ি-ফাঁসিদেওয়া ও শিলিগুড়ি-নকশালবাড়ি ভেঙে মোট চারটি ব্লক করা হয়েছে। এই চারটি ব্লক হল— ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি, মাটিগড়া ও নকশালবাড়ি।
কৃষি ব্লকের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন সহ অধিকর্তা। ছ’টি ব্লকের প্রতিটির জন্য একটি করে সহ অধিকর্তা, কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, অফিস পিওন ও নাইট গার্ডের পদ সৃষ্টি করেছে কৃষি দপ্তর।
রাজ্য মোট প্রশাসনিক ব্লকের তুলনায় কৃষি ব্লকের সংখ্যা বেশি হলেও সব জেলায় মহকুমাতে কৃষি দপ্তরের অফিস নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহকুমার সংখ্যা পাঁচটি। কিন্তু কৃষি দপ্তরের মহকুমার অফিস আছে দু’টি। পুরুলিয়া সহ আরও কয়েকটি জেলাতে সব মহকুমায় কৃষি দপ্তরের অফিস নেই। মহকুমা ভিত্তিক অফিস তৈরির জন্য কর্মী সংগঠন দাবিও তুলেছে।
তবে আগামী দিনে রাজ্যে প্রশাসনিক ব্লকের সংখ্যাও বাড়বে। প্রতি ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু একটি করে প্রশাসনিক ব্লক তৈরি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নিয়েছে সরকার।