প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। সিপিএমের পলিটব্যুরো মাত্র তিন লাইনের শোকবার্তা দিয়েই নিজেদের দায় সেরেছে। রাত পর্যন্ত বাজপেয়ীর বাসভবন ৬ নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যাননি একে গোপালন ভবনের কোনও বড়-মেজ-ছোট মাপের কোনও কমরেড। অথচ ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে কমপক্ষে দুবার সরাসরি অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে ছিল সিপিএম।প্রথমবার ১৯৭৭ সালে। সেবার ‘ জরুরি অবস্থার’ বিরোধিতা করে সিপিএম তখন জনতা পার্টির হাত ধরে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয়বার আবার ১৯৮৯ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে কলকাতার শহীদ মিনারে। সেবার দিল্লি থেকে রাজীব গান্ধী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হাত ধরাধরি করেছিলেন সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য জ্যোতি বসু ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী। সিপিএমের ক্ষেত্রে যখন যেমনটা সুবিধা, তখন তেমনটাই করে। সেক্ষেত্রে মুখে থাকে আদর্শের তাত্বিক মোড়ক। ‘যখন যেমন তখন তেমন’ সিপিএমের ডিএনএ রয়েছে। আমি যখন বাজপেয়ীর হাত ধরলে তখন বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ। আর মমতা ধরলেই সাম্প্রদায়িক। মমতা – সোমনাথ যেমন প্রতিপক্ষ ছিলেন। তেমনই মমতা-বিজেপি ও প্রতিপক্ষ। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অটলবিহারী বাজপেয়ীকে সম্মান জানাতে ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই তো গণতন্ত্রের নীতি হওয়া উচিত।