পূজো আসছে৷ আবালবৃদ্ধবনিতা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই সময়ের৷ ছোটোবেলায় পূজোর আগে থেকে অপেক্ষা করে থাকতাম পূজোবার্ষিকীর জন্য৷ পূজোবার্ষিকী হাতে পাওয়া মানে এক স্বর্গীয় অনুভূতি৷গল্পগুলো কত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় ,চলত তার ই প্রচেষ্টা৷পূজাবার্ষিকী ছাড়াও সব ধরনের গল্পের বই পড়ারপ্রতি ছিল এক অমোঘ টান৷পড়ার বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে চলত গল্পের বই পড়া৷
কিন্তু বর্তমান প্রজন্মকে দেখি বেশীরভাগই গল্পের বইয়ের প্রতি সেই আকর্ষণ অনুভব করে না৷ গল্পের বইয়ের প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনার জন্য একটি ফরাসি স্টার্ট আপ সংস্হা অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে৷তারা একটি ভেন্ডিং মেশিন বানিয়েছে যাতে একটি পুশ বাটন চাপলে একটা ছোটো গল্পের প্রিন্ট বের হয় ,যা এক ,তিন ও পাঁচ মিনিট থাকে পড়ার জন্য৷এই পরিষেবা তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করছে৷
এই কালো আর কমলা রঙের মেশিনটির প্রস্তুতকারী সংস্থা ফরাসি পাবলিশার্স শর্ট এডিশন৷এই মেশিনটিতে কোন স্ক্রিন নেই ,ছোটো গল্পগুলি প্রিন্ট হয়ে আসে৷ এখনো পর্যন্ত এই মেশিনে সারা বিশ্বের পাঁচ হাজারের বেশি লেখকের লেখা সংগৃহীত আছে৷
শর্ট এডিশনের মূখ্য উদ্দেশ্য হল ছোটো গল্প পড়ার প্রতি পাঠকের আগ্রহ ফিরিয়ে আনা এবং নতুন লেখকের লেখাকে আরো বেশী পাঠকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া৷
ফরাসী দেশের এই কম্পানী টি তাদের এই ভেন্ডিং মেশিনটি প্রথম চালু করে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের গ্রেনেবল শহরে, তখন থেকে এখনো পর্যন্ত তারা ১৫০ টির বেশি ভেন্ডিংমেশিন বিভিন্ন সরকারী অফিস, এয়ারপোর্ট ,ট্রেন স্টেশন,শপিংমল, ইউনিভার্সিটি তে চালু করেছে৷
আমেরিকার ওহাইয়োর কলম্বাস সিটি স্কুল এই ধরণের পাঁচটি মেশিন তাদের স্কুলে চালু করেছে ৷তাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা গেছে ছোটো গল্প পড়ার জন্য৷
ওহাইয়ো স্কুলের এই সাফল্যের জন্য আমেরিকার অন্যান্য স্কুল ও এই মেশিন চালু করার কথা ভাবতে শুরু করেছে৷