ব্রেকফাস্টে ব্রেড বাটারের সঙ্গে ডিমসিদ্ধ বা ডিমের ওমলেট কিংবা ভাতের পাতে গরম গরম ডিমের ঝোল – প্রতিদিনের চেনা খাবার। আবার আমাদের কারোর কারোর পরম প্রিয়। সহজলভ্য। যেভাবে বানাবেন সেভাবেই খেতে ভালো লাগবে।
আমরা জানি ডিম খুব পুষ্টিকর। প্রোটিন, গুড ফ্যাটস, ভিটামিনে পরিপূর্ণ। আরও একটা ব্যাপারে ডিম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহন করে। ওজন কমাতে। এমনটাই জানালেন শ্রীনিবাস ফার্মসের ভাইস চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী সুরেশ চিত্তুরি(তিনি ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনেরও ভাইস চেয়ারম্যান)।
প্রতিদিন যদি আপনার ডায়েটে ডিম থাকে বিশেষ করে ডিম যদি হয় আপনার প্রাতরাশের মেনু তাহলে তা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কারণ আগেই বলেছি ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। আর প্রোটিন ওজন কমাতে অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
তবে কীভাবে ডিম খেলে ওজন কমবে সেটা জানাও খুব জরুরি। এগ হোয়াইট স্যালাড, এগ হোয়াইট স্যান্ডউইচ- ডিম দিয়ে তৈরি এই খাবারগুলি ভীষণ উপকারী। বুঝতেই পারছেন। ডিমের কুসুমের থেকে ডিমের সাদা অংশকেই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হচ্ছে। আবার অনেক সবজি দিয়ে, এবং কম তেল দিয়ে ওমলেট বানিয়েও খেতে পারেন। ডিম আর সব্জির বেকড ডিশ শুধু ব্রেকফাস্টে নয় লাঞ্চ বা ডিনারেও খাওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওয়েট লস ডায়েটে কেন ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিম এমন একটা তৃপ্তিদায়ক খাবার যা অনেক্ষন আপনার পেট ভর্তি রাখবে। এবং আপনার অন্য কিছু খাওয়ার স্পৃহা কমিয়ে দেবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্ষিধে পাবেনা। ফলে উল্টোপাল্টা জাঙ্ক খাবার যাকে আমরা বলি বিঞ্জ ইটিং তার সম্ভাবনা কমে যাবে। খেয়াল করে দেখুন আপনার ওজন কমানোর পথে এই বিঞ্জ ইটিং-এর অভ্যাস একটা অন্যতম প্রধান শত্রু।
ডিম মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে। আর মেটাবলিজম রেট বাড়লে ওজনও কমবে।
লো ক্যালোরি খাবারের মধ্যে ডিমও কিন্তু পড়ে। ওজন কমানোর জন্য লো ক্যালোরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনটে সিদ্ধ ডিমে ক্যালোরির পরিমাণ ২৪০-এরও কম। মরশুমি শাকসবজির সঙ্গে খেলে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৩০০ ক্যালোরিতে। যাকে বলে পরিপূর্ণ পুষ্টিকর আহার।