এজবাস্টনে এর আগে ১৬ টেস্ট খেললেও জিততে পারেনি এশিয়ার কোনো দল। বিরাট কোহলির ভারতের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি এসেছিল। তৃতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত কোহলি অপরাজিত ছিলেন বলে এজবাস্টন টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ভারত।
ব্যক্তিগত ৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা কোহলি আজ চতুর্থ দিনে ৫১ রানে বেন স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন। তার আউটের পর নিভে যায় ভারতের শেষ আশার প্রদীপটিও। এ টেস্টে ৩১ রানে জয়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের হাজারতম টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখল ইংল্যান্ড।
ভারত ২য় ইনিংস: ৫৪.২ ওভারে ১৬২ (কোহলি ৫১, কার্তিক ২০, পান্ডিয়া ৩১, শামি ০, ইশান্ত ১১, উমেশ ০*; অ্যান্ডারসন ২/৫০, ব্রড ২/৪৩, স্টোকস ৪/৪০, কারান ১/১৮, রশিদ ১/৯)।
আজ চতুর্থ দিনে ১০০০তম টেস্টে ইতিহাস গড়ে জয়ের জন্য ৮৪ রান দরকার ছিল ভারতের। অন্যদিকে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মূল্যবান ৫টি উইকেট। রুট-কুকদের এ জয়ের পথে যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চতুর্থ দিন সকালে কোহলিকে আউটের ইংলিশদের জয়ের পথ পরিস্কার হয়ে যায়।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮০ রানে। প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ১৩ রানের লিড মিলিয়ে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৪। গতকাল ভারত দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১১০ রানে। আজ মাঠে নামা পর্যন্ত সমীকরণটা পক্ষে থাকলেও দিনের শুরুতে কোহলির আউটে সব পাল্টে যায়। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আজ ভারত থামে ১৬২ রানে। ফলে প্রথম টেস্টে ৩১ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড।
দিনের শুরুতেই দলীয় ১১২ রানের সময় দিনেশ কার্তিকের আউটে চাপ বাড়ে কোহলির ওপর। চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ফেরেন কার্তিক। এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে আলো দেখাচ্ছিলেন কোহলি।
তবে বল হাতে ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের আগমনের পর সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। নিজের তৃতীয় বলেই কোহলিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৪৯ রানের বীরোচিত প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন কোহলি, ভারতীয় এ রান মেশিন আউট হয়ে ফেরার পর তাকে অভিনন্দন জানায় এজবাস্টন।
কোহলির আউটের পর একই ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফেরান স্টোকস। এলবিডব্লিউতে ইশান্ত শর্মাকে ফেরান আদিল রশিদ। এরপর পান্ডিয়াকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন স্টোকস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান বেন স্টোকস। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ড ব্রড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২৮৭ ও ১৮০
ভারত: ২৭৪ ও ১৬২
ফল: ইংল্যান্ড ৩১ রানে জয়ী।