গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের আট সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অসমের শিলচরে যায়। তাদের বিমানবন্দরে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। এই আট সদস্যের মধ্যে ছিলেন লোকসভার চার সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ডঃ রত্না দে নাগ, অর্পিতা ঘোষ এবং মমতা বালা ঠাকুর। ছিলেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবং নাদিমুল হক। এছাড়া ছিলেন বাংলার মাননীয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল প্রতিনিধিদলের হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ করেন দলের সাংসদরা। আজ সকাল থেকে লোকসভায় সরব হন সাংসদরা। অএয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন তারা; মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। লোকসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশও দেওয়া হয়। রাজ্যসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেন ডঃ শান্তনু সেন।
রাজ্যসভায় এই বিষয়ে বলতে উঠে, ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “এটা শুধু অসমের ইস্যু না। এটা বিহারের ইস্যু, এটা ইউপির ইস্যু, এটা রাজস্থানের ইস্যু, এটা বাংলার ইস্যু। এটা জাতীয় ইস্যু, মানবাধিকারের ইস্যু।”
তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাউসে এক কথা বলছেন, আর বাইরে তাদের দলের সভাপতি আরেক কথা বলছেন। কার কথাটা ঠিক? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন “কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে।” কে দিচ্ছে সেটা সবাই জানে।”
লোকসভাতে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একজন নাগরিকের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে দেশের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার। তা ছাড়াও, সাংসদদের বাড়তি দায়িত্ব থাকে কোনও জায়গায় অনভিপ্রেত কিছু ঘটলে সেখানে পর্যবেক্ষণের জন্য যাওয়ার। ওদের )(বিজেপির) বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে কাল শিলচরে যা হল তা মালাফিডে অ্যাকশন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অসম পুলিশের ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করছি। গতকাল খবরটি পাওয়ার পর আমরা আশা করেছিলাম কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে নিজে থেকে আমাদের জানাবে, কঠোর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে, কিছুই করা হয়নি। ছ’জন সাংসদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে।”