অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে সংসদে শোরগোল অব্যাহত। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিজেপি অভিযোগ করেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হচ্ছে দলীয় সভাপতি অমিত শাহকেও। বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এই অবস্থায় বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কটাক্ষ, সংসদ ভবন বিজেপির পার্টি অফিস নয়। সেখানে কথা বলার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে।
গত তিন দিন নাগাড়ে ব্যাহত হয়েছে সংসদের অধিবেশন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হট্টগোলের নেপথ্যে অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু। রাজ্যসভা প্রায় কোনও রকম কাজকর্ম ছাড়াই মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে। লোকসভার অবস্থাও প্রায় তেমনটাই। বিরোধীদের টানা শোরগোলের জেরে গত মঙ্গলবার নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে। আর এই ইস্যুতে হট্টগোলের জেরে গত সোমবার থেকে বাতিল হয়ে পড়ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য। এদিন কৃষক ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়েন অমিত শাহ। এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নাম টেনে এনে আক্রমণ চালানোর সময়ও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি সভাপতিকে। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের বক্তব্য পেশ করতে হয়েছিল তাঁকে। আর অমিত শাহের দল পৃথকভাবে নিশানা বানায় তৃণমূলকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তাঁকে গত তিন দিন ধরে বলতেই দিচ্ছে না তারা। কৃষকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পথেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। বিজেপির এই অভিযোগের পরই এদিন পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল। দলীয় সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সংসদকে বিজেপির বাগানে পরিণত হতে দেবে না তৃণমূল। এটা সংসদ। বিজেপির পার্টি অফিস নয় যে শুধু তাদের সভাপতির একমাত্র বক্তব্য রাখার অনুমতি থাকবে। অমিত শাহ যদি বলতে চান, তাহলে তাঁর শৌখিন ও মস্ত বড় পার্টি অফিসে গিয়ে বলতে পারেন। সংসদে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাই।
(সংগৃহীত)