আইঢাই গরমের পরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। যাক বাবা এবার গরমটা একটু কমবে। হ্যাঁ। ঠিক এই জন্যই বর্ষাকালের জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। আপনি হয়তো আরাম পাবেন ভাবছেন। কিন্তু বাড়িতে আপনার পোষা কুকুরটির জন্য এই বর্ষাকাল তেমন আরামদায়ক নাও হতে পারে।
যেমন বর্ষাকালে বিদ্যুৎ চমকালে বা বাজ পড়লে অনেক কুকুরই ভয় পেয়ে বেশ খানিকটা অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। যেমন ক্রমাগত কাঁপতে থাকা, নিজেরই লোম খিমচে ধরা, কোথাও লুকোনোর চেষ্টা করা ইত্যাদি। অনেক পোষ্য কুকুর আবার সামনে যা কিছু পায় চিবোতে শুরু করে। ভয় পেয়ে কামড়ে দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এইসব ক্ষেত্রে কুকুরকে শান্ত রাখতে দারুণ কাজ দেয় অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ড্রাগ। তাই বর্ষার শুরুতেই কোনও পশু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এখানেই শেষ নয়। বর্ষায় পোষ্য সংক্রান্ত আরো কয়েকটা টুকিটাকি সমস্যায় পড়েন অনেকেই। তাই এই বর্ষায় কিভাবে আপনার আদরের পোষ্যটির যত্ন নেবেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক ডগফুড ব্র্যান্ড পেডিগ্রি প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্স ইন্ডিয়ার ডক্টর কাল্লাহাল্লি উমেশের কাছ থেকে।
এই সময় মশার কামড় থেকে কুকুরদের জ্বর, অ্যালার্জির মতো নানা অসুখ বিসুখের ভয় থাকে। তাই আগে থেকেই সাবধান হোন। আপনার পোষ্য কুকুরকে নিয়মিত কৃমি-প্রতিরোধক ওষুধ দিতে থাকুন। বর্ষার দিনে কুকুরকে নিয়ে বেড়াতে বেরোলে তাকে রেইন জ্যাকেট পরাতে পারেন। ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকবেনা।
কুকুরদের একটা স্বভাব হলো যখন তখন টিকটিকি, ব্যাং, বা মাকড়সার পিছনে ধাওয়া করা। ধরতে পারলে সটান পেটের ভিতরে। অনেক সময় খেয়ে না ফেললেও কামড়ে ধরে রাখার অভ্যাসও আছে। এই ধরনের কীটপতঙ্গ বা প্রাণীদের শরীরে যেহেতু টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, তাই কুকুরের পক্ষে তা মারাত্মক হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। বাড়ির বাইরে বা বাগানে পোষ্য কুকুর নিয়ে বেরোলে, তাকে চোখে চোখে রাখুন।
পোষ্য কুকুরের খাবার দাবারের দিকে নজর রাখুন। বিফ চিকেন ইত্যাদি মাংস থেকে যেহেতু সংক্রামিত হওয়ার ভয় থাকে, তাই এমন জায়গা থেকে মাংস কিনুন, যেখানে ঠিকমতো হাইজিন বজায় রাখা হয়। কুকুরের খাবার এয়ার টাইট কন্টেইনারে স্টোর করে রাখার চেষ্টা করুন।
অনুলিখনঃ গার্গী ভট্টাচার্য