আচ্ছে দিনের স্বপ্ন অতীত। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির রেকর্ড হারে এনপিএ বৃদ্ধির হারেই তা স্পষ্ট। রাজ্যসভায় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র হার বৃদ্ধির বিষয়টি মানতে বাধ্য হল কেন্দ্র।
সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যাযের প্রশ্ন ছিল, গত অর্থ বছরের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির নন পারফরমিং অ্যাসেটের পরিমাণ কী বেড়েছে? যদি বাড়ে তাহলে কেন বাড়ল? পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেছে কি?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল উত্তরে যা জানিয়েছেন তার মূল কথা- গত অর্থ বছরের তুলনায় ১৯টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে এনপিএ বেড়েছে ১লক্ষ ৫৪হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যানেই কেন্দ্র মানতে বাধ্য হয়েছে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিলেও তা আর ফেরত আসেনি। ফলে আনাদায়ী ঋণহেতু বেড়েছে এনপিএ-এর হার। এনপিএ কমানোর কথা বলা হলেও উত্তরে স্পষ্ট নয় কী প্রক্রিয়ায় তা হবে। নাম করা হয়নি ডিফল্টার প্রথম দশ ব্যক্তি বা সংস্থারও।
প্রথমে নোটবন্দী, পরে জিএসটি-র প্রয়োগে ভারতীয় অর্থনীতি বেসামাল। কমেছে বৃদ্ধির হার। উপরোন্তু বিজয় মালিয়া থেকে নীরব মোদি, মোহুল চোকশী রাষ্টায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়েছে বিদেশে। ফলে বেড়েছে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ। যার জেরে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র পরিমাণ উর্ধ্বমুখি বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরোধীদের এই যুক্তি প্রকাশ্যে মানতে চায়নি কেন্দ্র। কিন্তু ঋতব্রতর প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের পেশ করা পরিসংখ্যানে বিরোধীদের অভিযোগকেই মান্যতা দিল মোদী সরকার।