বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র আক্রমণের মুখে কার্যত দিশেহারা হলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও অন্যান্য বিরোধীরা।
এ দিন লোকায়ুক্ত বিল পাশ হয় বিধানসভায়। এই বিলের আওতায় মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা হয়নি কেন এই নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন বিরোধীরা। এ দিনও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, বিজেপি’র দিলীপ ঘোষ সহ বাম বিধায়করা এই বিলের বিরোধিতা করেন। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যে বেঞ্চে বসেন তার পিছনেই বসেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ বাবুর দিকে তাকিয়ে সুজনকে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, গো রক্ষা বন্ধুরা আপনার পার্টি টা কিনে নিচ্ছেন। লজ্জা করে না! পার্টিটা বিক্রি করে দিয়ে এখানে সাইনবোর্ড হয়ে বসে আছেন!’
গত কয়েকটি নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে বাংলায় সিপিএম-এর ছাঁকা ভোট বাঁধ ভাঙা জলের মতো হু হু করে ঢুকছে বিজেপির বাক্সে। বছর কয়েক আগে বাম নেতারা যখন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন তখনই বিমান বসু, মঞ্জু কুমার মজুমদারদের নিজের ঘরে বসিয়ে, ফিশ ফ্রাই খাইয়ে মুখ্যামন্ত্রী তাঁদের সতর্ক করেছিলেন। বিমান বাবুকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘নীচে আপনাদের সংগঠন ভেঙে সব বিজেপি’র দিকে চলে যাচ্ছে। একটু নজর দিন।’ সিপিএম-এর ভোট বিজেপি’তে যাওয়া নিয়ে গত একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম যে বিজেপির সাথে আঁতাত করেছিল তা রাজ্যের বহু জায়গাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
নদিয়া ও পুরুলিয়াতে এই জোটে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য স্তরের নেতারা।
এই অশুভ আঁতাত নিয়ে সিপিএমের কর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। বিজেপির কাছে পার্টি আত্মসমর্পণ করছে বলে অনেক সিপিএম সমর্থক মনে করছেন।
বাম-রামের জোটের অন্যতম কারিগর সুজনকে করা মুখ্যমন্ত্রীর ঝাঁঝাল আক্রমণ বিজেপি বিরোধী সিপিএম সমর্থকদেরও খুশি করেছে।