সাত দশকের ভারত-পাক অবিশ্বাসের বাতাবরণ ভাঙতে পারে একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে ভারত এক কদম এগোলে পাকিস্তান দু কদম এগোবে। পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার আগেই জানিয়ে দিলেন সে দেশের নির্বাচনে সব চেয়ে বৃহৎ দল পাকিস্তান তেহরিকই ইনসাফ প্রধান ইমরান খান।
ক্রিকেটার থেকে দেশের ক্যাপটেন হতে চলা ইমরানের মতে, “কাশ্মীরের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা বন্ধ করে দু দেশের রাষ্ট প্রধানদেরই উচিত ভারত-পাক সম্পর্ক মজবুতে উদ্যোগী হওয়া।”
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ফের চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা শোনা যায় ইমরান খানের গলায়। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পাকিস্তান আগ্রহী বলেও এদিন জানান ইমরান।
পাকিস্তান তেহরিকই ইনসাফ প্রধানের তরফে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আলোচনার প্রস্তাব থাকলেও বাস্তবে পাক সেনাবাহিনীর চাপে তা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান দিল্লি। এর আগে আটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। তারপরই কার্গিলের মতো ঘটনা ঘটে। এর পরেও আমলা স্তরে বহু আলোচনার উদ্যোগও সফল হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই আশঙ্কা।
ভারত ছাড়াও চিন, আফগানিস্থানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায়ে পাকিস্তান আগ্রহী বলে জানান ইমরান খান।
ক্ষমতার মসনদে বসার আগে তাঁর প্রতিশ্রুতি, “নতুন সরকার হবে সাধারণ মানুষের সরকার। শ্রমজীবীদের সরকার। ২৬ বছর আগে করা সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে তাঁর দল।”
বিরোধী শিবির থেকে রিগিংয়ের অভিযোগ উঠলেও ইমরান খানের দাবি এবারের সাধারণ নির্বাচন দেশের সর্বকালের স্বচ্ছ ভোট। বিরোধীদের অভিযোগের তদন্তেরও আশ্বাস দেন তিনি।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া এবং প্রশাসন উপহার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ভোটে লড়েছেন ইমরান খান। ভোটেই প্রমাণ পাক নাগরিকরা তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন। ক্ষমতায় বসার পর সেনাবাহিনীর চাপ এড়িয়ে সেই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করতে পারেন ইমরান এখন থেকে সেদিকেই নজর থাকবে বিশ্বের।