গরু পাচারকারি সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে গণপিটুনি। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। আশান্ত পরিবেশকে শান্ত করার দাবিতে সরব বিরোধীরা। কিন্তু অশান্তির পরিবেশ বজায় রেখে তা থেকে ফায়দা তুলতে মরিয়া আসএসএস। স্পষ্ট গেরুয়া ব্রিগেডের মুখ আর মুখোশের ফারাক।
গরু খাওয়া বন্ধ করে দিলেই গণপিটুনির ঘটনাও আর ঘটবে না। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, আরএসএসের শীর্ষ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তিনি বলেছেন, “কোনও ধরনের গণ হিংসা সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গরু খাওয়া বন্ধ হলেই গণপিটুনি বন্ধ হবে।”
ইন্দ্রেশ আরএসএস’এর মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মার্গদর্শকও। রাঁচিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোনও ধর্ম তাদের ধর্মস্থলে গোহত্যার কথা বলে না।”
গো হত্যার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ইন্দ্রেশ কুমার টেনে এনেছেন যিশু খ্রীষ্টের কথাও। তিনি বলেন, “যীশু খ্রীষ্টের জন্মই হয়েছিল গোয়ালে। তাই সেখানেও গরুকে বলা হয় মা। মক্কা, মদিনাতেও গোহত্যা অপরাধ। আমরা কি মানবতাকে এই পাপ থেকে মুক্ত করার শপথ নিতে পারি না? গোহত্যা বন্ধ হলেই এ ধরনের হিংসা বন্ধ হবে।”
শেষ কয়েক মাসে গণপিটুনির ফলে হত্যার ঘটনা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। ২১ তারিখ রাজস্থানের আলোয়ার জেলায় গরু চোর সন্দেহে আকবর নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রকে বলেছে, এ ধরনের ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য তারা সংসদে আইন আনার কথা ভাবুক। কেন্দ্র মন্ত্রী গোষ্ঠী ও সচিব স্তরে কমিটিও গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় শাসক দলের ধাত্রী সংগঠন থেকেই যদি ক্রমাগত উস্কানিমূল মন্তব্য ধেয়ে আসে তাহলে আইন করে কী এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে? প্রশ্ন উঠছে মোদী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে।