এবার এশিয়াড থেকে বাদ পড়েছে ভারতীয় ফুটবল দল। মেডেল জেতার বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় আসন্ন ইন্দোনেশিয়া এশিয়াডে ফুটবল দল পাঠানোয় ছাড়পত্র দেয়নি ভারতীয় অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই নানান মহল থেকে সমালোচিত আইওএ। প্রশ্ন উঠছে, এশিয়াডে অংশ গ্রহণের জন্য আইওএ’র ছাড়পত্র পাওয়া সব প্রতিযোগীই কী তাহলে এবার পদক এনে দিতে পারবে? সিদ্ধান্তের পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সক্রিয় হস্তক্ষেপের অভাব ঘিরেও রয়ে যাচ্ছে সন্দেহের অবকাশ।
এই ইস্যুতে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ত্রীড়ামন্ত্র রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর লিখিতভাবে জানান, আইওএ’র দাবি এশিয়াডে ছাড়পত্র আদায় না করতে পারার জন্যই ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছে না ভারতীয় ফুটবল দল। তবে এই জবাবের পিছনে যুক্তি নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের “গাইড লাইন”, পদক আনতে পারবে এমন সব ইভেন্টেই এশিয়াডে প্রতিযোগী পাঠানো হবে। অযথা প্রতিযোগী পাঠিয়ে অর্থ খরচের কোনও মানে হয় না। আইওএ’র দাবি, ফুটবলে এশিয় ক্রমতালিকায় ভারতীয় ফুটবল দলের স্থান ত্রয়োদশ। ফলে সাফল্য নিশ্চিত নয় বলেই কেন্দ্রীয় গাইড লাইন মেনে তারা ভারতীয় ফুটবল দলকে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়নি।
গত বছরই যুব ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছে অনুর্ধ্ব সতেরোর ছেলেরা। সেখানে সাফল্য না এলেও অভিজ্ঞতা বেড়েছে তাদের। এবারের এশিয়াডে সেই দলকে পাঠালে খুব খারপ ফল হত বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা।
এবার প্রায় পাঁচশ প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন এশিয়াডে। তাহলে কী অন্তত তিনশটি পদক আসবে ভারতীয়দের ঝুলিতে।
নজির গড়ে ১৯৯৪এর পর এই প্রথম এশিয়াড থেকে বাদ পড়ল ফুটবল দল। ফলে নিন্দার ঝড় দেশের সর্বত্র। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনও এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রতিবাদ পত্র দিয়ছে আইওএ’র কর্তা নরেন্দ্র বাতরাকে। সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে। কোনও আলোচনা ছাড়া আইওএ’র সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। তিনি বলেন, ‘অযথা খরচই যদি মনে হয় তাহলে কেন্দ্রের সেই বিষয়ে সকলকে অবগত করা উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে ফুটবলারদের সব খরচই দেবে এআইএফএফ।’
কেন্দ্র ব্যাখ্যায় আবশ্য যুক্তি মেলা ভার। এশিয়াডে দেশের অংশগ্রহন নয়, তাদের লক্ষ্য ফলাফলের দিকে। এ যেন ‘গিভ এন্ড টেক পলিশি’।