প্রধানমন্ত্রীর সভায় দুর্ঘটনা ঘিরে রাজ্য বিজেপি’র অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে। নেতাদের মধ্যে চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা।
দলীয় সূত্রের খবর, মোদীর সভা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন দলের দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিং। দলের একাংশ তাই তাঁদের দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, বিজেপি-র বিভিন্ন সভার কাজ যে ডেকরেটর সংস্থা করে, মেদিনীপুরে সংস্থাই কাজ করেছে।
তবে তাতে বিতর্ক থামছে না। রাজ্য বিজেপির ভেতরের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মঞ্চ গড়তে রাঁচি থেকে ‘অভিজ্ঞ’ ডেকরেটর আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যের আরও এক সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। গত ২৮ জুন পুরুলিয়ায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় রাঁচির ওই ডেকরেটরকে দিয়েই ছাউনি তৈরি করিয়েছিলেন সায়ন্তন। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে রাঁচির ওই ডেকরটেরকে মোদীর সভার জন্য আনার প্রস্তাব বাতিল করেন রাজু ও সঞ্জয়। সায়ন্তনের দাবি, ‘‘দলীয় বৈঠকে অনেক প্রস্তাবই এসেছিল। এ বিষয়ে আর কিছু বলব না।’’ পাল্টা রাজুর বক্তব্য, ‘‘রাঁচির ডেকরেটরকে কাজটা দেওয়া হয়নি, কারণ, সে পারত না।’’ রাজুর আরও বক্তব্য, পুরুলিয়ায় শাহের সভার মূল মঞ্চ যে ডেকরেটর করেছিল, তারা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপি-র সব সভাতেই কাঠামো গড়ার কাজ করে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভার মঞ্চ থেকে ছাউনি— সবটাই তাকে দিয়ে করানো হয়েছে।” এখানেই স্পষ্ট দলের অন্দরের বিভেদের বিষয়টি।
বিতর্ক বেঁধেছে রাজ্য বিজেপি’র বেশ কয়েকজন নেতা মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় না যাওয়াকে কেন্দ্র করেও। ওই দিন সভায় অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি’র সহ সভাপতি চন্দ্র বসু সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। দলের ব্যাখ্যা এতে ভুল বার্তা গিয়েছে মানুষের কাছে। স্পষ্ট হয়েছে দলের অন্দরের গোষ্ঠীবাজির বিষয়টা।
প্রধানমন্ত্রীর সভার কোন দায়িত্বে কারা ছিলেন তা জানতে বিস্তারিত বিবরণ মুরলীধর সেন লেনের নেতাদের থেকে চাওয়া হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের তরফে। তবে এতে কী রোখা যাবে দলের অন্দরের কাজিয়ার বেআব্রু ছবিটা?