মানুষের উন্নয়ন তাঁর চিন্তা চেতনায়। যতই তা বন্ধুর পথ হোক না কেন জনগনের স্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি পিছপা নন। তাঁর গুণমুগ্ধরা তো বটেই, এমকি অনেক বিরোধী দলের নেতা, নেত্রীও তাঁকে বলেন, মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা, মানুষের স্বার্থে নিবেদিত প্রাণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মানুষও তাঁকে জড়িয়ে রয়েছে আষ্টেপৃষ্ঠে। ভোটের ফলাফলের মতো তা আরও একবার স্পষ্ট হল টুইটারের ফলোয়ারের খতিয়ানেও।
সম্প্রতি ভুয়ো ও অনেকদিন ব্যবহার হয়নি এমন অ্যাকাউন্ট সাফাই অভিযানে নেমেছে টুইটার। তাতে অন্যান্য নেতা নেত্রীদের ব্যাপক হারে টুইটার ফলোয়ার কমলেও সেই তালিকায় অনেক নীচে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম। ২৪ ঘন্টায় নগণ্যমাত্র ফলোয়ার কমেছে তৃণমূল নেত্রীর। তুলনায় প্রায় ৩ লক্ষ টুইটার ফলোয়ার কমেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কংগ্রেস সভাপতির ফলোয়ার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। টুইটারের অভিযানে বেকায়দায়, শশী থারুর, সুষমা স্বরাজেরা।
রাজনীতির আঙিনায় তিনি ব্যতিক্রম। সেই ধারার প্রতিফলন ধরা পড়ল টুইটারেও। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারের ‘সাফাই অভিযান’ প্রমাণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভুয়ো ফলোয়ার নেই।
‘স্বচ্ছতা’র কথা কেবল প্রচারের হাতিয়ার নয়, এটা একটা চর্চা ও মূল্যবোধের সাক্ষর। পরতে পরতে তাই যেন প্রমাণ করছেন বাংলার জননেত্রা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটারের সাম্প্রতিক নথি বলছে মোদীর ফলোয়ার কমেছে ৩ লক্ষ। ‘সিদুঁরে মেঘ দেখছে’ বিজেপি শিবির। ঠিক উল্টো ছবি তৃণমূল শিবিরে। নেতা থেকে কর্মী সমর্থকরা বলছেন, নেত্রীর ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ই দলের ইউএসপি।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও মানুষের চাহিদা মতো সাড়া দেন মমতা। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বার্তা আদানপ্রদান করেন টুইটার, ফেসবুকের মাধ্যমে। তাই সেখানে ‘জনপ্রিয়তা’ প্রামাণ করতে ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীদের প্রয়োজন হয় না তৃণমূল নেত্রীর। সাফাই অভিযানের পরও তাই বিশেষ কমেনি টুইটার ফলোয়ার। অন্যদিকে নেত্রীর ‘স্বচ্ছতা’ অননুকরণীয়, এই বার্তাও পৌঁছে গেল মমতার অনুগামীদের কাছে।