কেন্দ্র বঞ্চনা করছে। কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু রাজ্য জুড়ে উন্নয়ন হয়ে চলেছে তার নিজস্ব ছন্দে। সেই ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর আসার পথ মুড়ে দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর দলীয় ফ্লেক্সে। নরেন্দ্র মোদীর মেদিনীপুর সফরের ঠিক আগে এমনই নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার উপলক্ষ্যে মেদিনীপুরে যান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। সেই সভায় তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মেদিনীপুরে আসছেন। জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন ভাবে উপস্থাপিত করুন যাতে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে ওই ওরা উপলব্ধি করে, বাংলায় ওদের সব চেষ্টাই বৃথা।”
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ পেয়েই দলের জেলা সভাপতি অজিতবাবুর জবাব, ‘‘বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি তিন ভাষাতেই লেখা থাকবে ফ্লেক্স। যাতে সবাই সব বুঝতে পারে।’’
মোদীর মেদিনীপুর সফর ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ধান-সহ ১৪টি খরিফ শস্যের সহায়কমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশ’-এর আয়োজন করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কৃষক স্বার্থের কথা বললেও লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতেই অমিত শাহের পরে এ বার মোদীর সফর।
এই সফরকে ইত্যিমধ্যেই ‘অভিনয়’ বলে কটাক্ষ করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রমশ মোদী ম্যাজিক অস্তাচলে। বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলেই তা স্পষ্ট। কৃষকদের মন গলাতে তাই ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশ’এর আয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একদিকে মোদীর লোক দেখানো উন্নয়ন। অন্যদিকে বাংলা জুড়ে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রুপশ্রী সহ একাধিক উন্নয়নের মডেল। উন্নয়নের সেই ফারাক মানুষের সামনে তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল। তাই দলনেত্রীর ছবি ও ফ্লেক্স দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ মুড়ে ফেলার কৌশল তৃণমূলের।