সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর থেকেই ব্রাজিল সমর্থকদের মনে ছিল ধুকপুকানি। এমনিতেই ম্যাচ ড্র করেছে তাদের প্রিয় দল। আবার ম্যাচ শেষে নেইমারকে দেখেছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে। কোস্টারিকার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে নেইমারকে পাবে কিনা ব্রাজিল, তা নিয়ে রাজ্যের শঙ্কা ছিল ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের সমর্থকদের মনে। এমনকি গোটা বিশ্বের মিডিয়ারও চোখ ছিল নেইমারের দিকে, ২২ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গে তাকে দেখা যাবে কি না মাঠে, তা নিয়ে।
সম্মেলনে এসে নেইমারের খেলার সুখবরটা শুরুতেই দিলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। তিনি এটাও খোলাসা করলেন, প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে একাদশ নিয়ে শুরু করেছিলেন, সেটাই থাকছে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে। তারপরও সংবাদ সম্মেলনে কোচকে উদ্দেশ্য করে মিডিয়ার প্রশ্নগুলোর বেশিরভাগই ছিল নেইমারকে ঘিরে। দলের সেরা তারকা বলে কথা।
প্রথম ম্যাচ ড্রয়ের পর কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জয়টা জরুরি ব্রাজিলের। ঠিক এ কারণেই নেইমারকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় ছিল ব্রাজিল শিবির। দলের প্রয়োজনে পুরো ফিট না থেকেও নেইমার খেলবেন কি না এমন কথাও উঠলো। তিতে পরিস্কার করেই বলেছেন, নেইমার পুরোপুরি ফিট হয়েই খেলবে। দলের সেরা তারকা তিনি। ব্রাজিলকে আরো গোটা পাঁচেক ম্যাচ খেলতে হতে পারে। আমার বিশ্বাস নেইমার সেভাবেই তৈরি আছেন। বাকি দিনগুলোতে তিনি সেরা ফর্মেই থাকবেন।
প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯০ মিনিটই খেলেছেন নেইমার। যা ছিল ইনজুরি কাটানোর পর প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। যদিও বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচই খেলেছেন নেইমার ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে। গোল পেয়েছেন দুই ম্যাচেই।
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নেইমার দলের সব কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন ব্রাজিলের কোচ। তিতে বলেছেন,‘এটা একটা পূনর্বাসন প্রক্রিয়া। নেইমার খেলবেন এবং তার মতো করেই। আমরা জিততে চাই। কারণ, এটা বিশ্বকাপ। তারপরও পুরো ফিট না থাকলে নেইমারকে খেলানোর ঝুঁকি নিতাম না। কারণ, কোনো কোচই খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে ঝুঁকি নেবেন না। নিলে সেটা খেলোয়াড়ের উপর অন্যায় করা হবে। এটা এত মূল্যবান যে, অর্থের চেয়েও অনেক বেশি। তাই এখানে সততার কোনো বিকল্প নেই।’