চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২২ থেকে ৩০ জুন চীন সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চীনের বিনিয়োগ রাজ্যে আনা এই সফরের মুল উদ্দেশ্য। কোলকাতায় অবস্থিত চীনা কন্স্যুল জেনারেল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সফরের কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও শিক্ষার আদান প্রদানের বিষয়টিও দেখবেন। চীনা কন্স্যুল এই সফরটির ব্যবস্থাপনা করবেন।
এই প্রসঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই ফেসবুক পোস্ট করেন রাজ্যে যে দুর্বার গতিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন চলছে, সেই বিষয়ে। স্থায়ী পরিকাঠামোতে খরচ ২০১১র নিরিখে বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। সদ্য সরকার ১৮০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে নতুন পরিকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য। এছাড়া বাজেটে ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বাবদ ২৫৭৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে।
চীনা কন্স্যুল জেনারেল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী। কোলকাতায় ২০১৫ সালে যখন চীনা উপরাষ্ট্রপতি আসেন, সেই তখন থেকেই চীনা ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে বারংবার চীন যাওয়ার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বেজিং,সাঙ্ঘাই ও জিনান যাবেন। কুন্মিং প্রদেশের মেয়র ও বেজিং-এর নেতারাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেজিং-এ দেখা করবেন। উল্লেখ্য, ইউনানের কানমিং এবং কলকাতা ‘যমজ বোনের’ মতোই অর্থাৎ ‘সিস্টার সিটি’।
গত তিন বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে চীনা প্রতিনিধিদল আসার পর, এটি রাজ্যের তরফ থেকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ চীনা বিনিয়োগ আনতে।
যে চীনা প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসে তারা নির্মাণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, কৃষি যন্ত্র ও সারে বিনিয়োগে আগ্রহী। ইতিমধ্যে এই ক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ এসছে।
কিছু শিক্ষাগত চুক্তিও হয়েছে বাংলা ও চীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী বেজিং ও সাঙ্ঘাই-এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পরিদর্শন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বেজিং থেকে জিনান ও জিনান থেকে সাঙ্ঘাই যাবেন গাওতি জানে করে, যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চীনে পৃথিবীর সবথেকে দ্রুতগামী রেল পরিষেবা আছে।