রাজধানীতে নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পথেই হেঁটেই একইভাবে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন আরও তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, চন্দ্রাবাবু নাইডু এবং পিনারাই বিজয়ন। মমতার সঙ্গে দিল্লীতে বিজয়নের মুখোমুখি বৈঠক ও ঘনিষ্টতাতে প্রবল অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন এবং ইয়েচুরি। সিতা শিবিরের দাবি, পিনারাইয়ের মমতার সান্নিধ্যে আসার পেছনে হাত রয়েছে কারাত লবির। তাতেই বেজায় ক্ষুদ্ধ জোটপন্থী বলে পরিচিত বাংলা সিপিএম। মুজাফফর আহমেদ ভবন সূত্রে খবর, এ মাসের শেষের দিকেই এ কে গোপালন ভবনে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিজয়নের বিরুদ্ধে বৈঠকে অভিযোগ জানাতে পারে বাংলার নেতারা। কিসের অভিযোগ? সিপিএমের একটা অংশের যুক্তি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল গুলোকে নিয়ে ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বেশ উৎসাহ দেখিয়েছেন। এদের মধ্যে সিপিএম শাসিত একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করায় দলের ক্ষতি হয়েছে। কর্মী সমর্থকদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছনোর সাথে সাথে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে। এটা লাভ হয়েছে তৃণমূলের। তবে বিষয়টি ছোট ভাবে দেখতে নারাজ। পুরোটাই হয়েছে কারাত লবির কৌশলে।
দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে যখন একমাত্র লক্ষ্য ২০১৯-এ মোদীকে কুর্নিশছাড়া করা। মোদীকেই একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেই সময় অলিমুদ্দিনের নেতাদের কাছে মোদী নয়, মমতাই প্রধান। বিজেপিকে হারানোর থেকে মমতাকে পরাস্ত করাই আসল লক্ষ্য। কেরল সিপিএম নেতারা বিজেপিকে বিপদ বুঝলেও, বাংলা সিপিএম এখনও আটকে তৃণমূলেই!