কাশ্মীর নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল। কাশ্মীরে পাথর ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারা উচিত বলে মনে করেন বিজেপি’র রাজ্যসভার সদস্য ডি পি ভাটস। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি’র বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং দাবি করেছেন, তাজমহলের নাম পাল্টে রাম মহল বা কৃষ্ণমহল করা উচিত। শুধু তাই নয়, মুসলিম শাসনকালে তৈরি প্রতিটি সৌধ, স্মারক এবং রাস্তার নাম বদলানো উচিত।
দুই বিজেপি নেতার এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে শাসক দল বিজেপি’র কোনও বক্তব্য মেলেনি। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি পি ভাটস বলেন, পাকিস্তান মুখোমুখি যুদ্ধে বারবার পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা নেয়নি। তাই এখন কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। প্রতিদিন জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জওয়ান প্রাণ হারান। একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী হিসেবে আমি সেই যন্ত্রণাটা বুঝি। কাশ্মীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। যারা পাথর ছুঁড়ে ছিল, তাদের জবাব বুলেট দিয়ে দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে, বারবার নানা ধরনের কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিং। ফের তিনি তাজমহল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। এর আগেও তাজমহলের নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ‘রামমহল’ বা ‘কৃষ্ণমহল’ রাখা উচিত। অথবা ‘রাষ্ট্রভক্ত মহল’ রাখলেও মন্দ হয় না। এর আগেও তিনি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্লেসকে পাল্টে ‘জানকি প্যালেস’ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সুরেন্দ্র সিং বলেন, মুসলিম এবং ব্রিটিশ আমলে তৈরি সৌধগুলি ধ্বংস করা উচিত নয়। আমাদের জমি ব্যবহার করে অন্য কেউ প্রাসাদ তৈরি করেছে। এগুলি ভারতের সম্পত্তি। ভেঙে না ফেলে ভারতীয় পরম্পরাকে মান্যতা দিয়ে নাম পাল্টে ফেলা উচিত। তাজ মহল নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি’র এমপি বিনয় কাটিয়া বলেন, তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির কলঙ্ক। ওটা ভেঙে ফেলাই উচিত। আগ্রার ওই মুসলিম স্থাপত্য আসলে একটি শিব মন্দির। নাম তেজো মহল। যদিও ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে, তাজমহল মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিসৌধ। ওখানে কোনও মন্দির ছিল না।