শেষ পর্যন্ত মনীষীদের নিয়েও মেরুকরণের খেলায় নেমে পড়ল বিজেপি। রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল নয়, বিজেপি এবার অনুষ্ঠান করবে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলায় বঙ্কিমচন্দ্র অবহেলিত। তাই জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসাবে তাঁরা বন্দে মাতরমের রচয়িতার ওপরে আলোকপাত করতে চান। রাজ্য বিজেপির নিষ্কর্মা হয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবী সেলকে এই বঙ্কিম কর্মসূচির মাধ্যমে চাঙ্গা করতে চান দিলীপ ঘোষরা। এদিনের বক্তব্যে রীতিমতো বিষ্ফোরক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথকে তৃণমূল নিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শাসকদল রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করে। তাই আমরা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান করবো না। বরং বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়েই আমরা অনুষ্ঠান করবো।আগামী ২৭ জুন রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর উপস্থিতিতেই বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে কর্মসূচি নেওয়া হবে।মনীষীদের নিয়ে এই রাজনৈতিক কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল এবং বাংলার সাধারণ মানুষ। এ কী নুতুন খেলা শুরু করলো বঙ্গ বিজেপি ?তাদের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথ কারওনন, তিনি বিশ্বকবি, তৃণমূল তাঁর গুণগ্রাহী। রবীন্দ্রনাথ তৃণমূলের, এই কথাটি বলার মধ্যে অশিক্ষা লুকিয়ে রয়েছে। একমাত্র অশিক্ষিতরাই এ ধরণের কথা বলতে পারেন। বঙ্কিম চন্দ্র তিনিও বিশ্ববরেণ্য কবি এবং লেখক, বঙ্গবাসী ওনারও গুণগ্রাহী।প্রশ্ন উঠছে, বঙ্কিমচন্দ্রই বা কি করে বিজেপির হলেন? আনন্দমঠের স্রষ্টাকে কোন অফিস থেকে বিজেপি নেতারা পেটেন্ট নিয়েছেন? বিজেপি মনে করে তারা রাম এবং গরুর পেটেন্ট নিয়ে রেখেছে। সেইভাবেই যদি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গদ্যকারকে তারা রাজনৈতিক মোরুকরণের এবং হিন্দুত্ব প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে বাংলা মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে এবং প্রতিরোধ গড়বে।
( মতামত লেখকের ব্যক্তিগত )