অনিদ্রায় ভোগা, ঘুম না আসা বা রাতে জেগে থাকা- নাগরিক জীবনে অনেকেরই রয়েছে এই সমস্যা। কর্মক্ষেত্রে চাপ, শারীরিক কসরতের অভাব, মোবাইল বা ইন্টারনেটে আসক্তি ‘ইনসমনিয়া’ বা অনিদ্রায় ভোগার কারণ।
এই সমস্যার সমাধানের কিছু উপায় বলে দিয়েছেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ওয়েকফিট ডটকো’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আঙ্কিত গার্গ এবং ‘ফাংশনাল ট্রেইনিং স্টুডিও, দ্য আউটফিট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা দেভরথ ভিজায়।
রাতের খাবার: ঘুম বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষকরা প্রায়শই রাতে ঘুমাতে যাওয়া দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলার পরামর্শ দেন। কারণ তা না করলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
বিছানা: অস্বস্তিকর বিছানা ঘুম না হওয়ার একটি বড় কারণ। বিছানা আরামদায়ক না হলে ঘুমের মধ্যে এপাশ-ওপাশ করবেন, ফলে ঘুম ভালো হবে না। তারপরও ঘুমিয়ে গেলে পরদিন শরীর ব্যথা, পেশি ব্যথা, স্নায়ুগত সমস্যা, এমনি শরীরের গড়নজনীত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভালোমানের তোষক, ম্যাট্রেস ব্যবহার করা উচিত।
ঘুমের পরিবেশ: মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি কাজ কিংবা বিনোদনমূলক যন্ত্র বিছানা থেকে দূরে রাখতে হবে। ঘুম আসার জন্য ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সুগন্ধি মোমবাতি, শান্ত ও মৃদু সংগীত ইত্যাদি ঘুমের পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: সারাদিন বিভিন্ন কাজ করে আসার পর রাতে ঘুমানোর সময় রাজ্যের দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক অস্বস্তি আমাদের ঘিরে ধরে, ফলে ঘুম জানালা দিয়ে পালায়। এই অবস্থায় ঘুমানো বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। সমাধান হল- দুশ্চিন্তা ও অস্বস্তিগুলো কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া। আর পরিস্থিতি বেগতিক হলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলাই ভালো সিদ্ধান্ত।
ব্যায়াম: সারাদিন এত পরিশ্রমের পর আবার ব্যায়াম? আসলে পরিশ্রম তো হয় আমাদের মস্থিষ্কের, শরীর তো সারাদিন চেয়ারেই বসে ছিল।
অপরদিকে পেটে গেছে বাইরের অস্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখোরোচক খাবার। এই ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্তরা ঘুমানোর আগে হতাশার বিপদজনক স্তরে পৌঁছে যান, যেখানে তারা ঘুমাতে পারছেনা এবং শরীর এতটাই ক্লান্ত যে সঠিকভাবে কার্যসম্পাদন করতে পারছে না।
এক্ষেত্রে অফিসেই সামান্য হাঁটাহাঁটি, বাসায় হালকা ব্যায়াম কিংবা পেশি টানটান করা উপকারী।