রাজ্যে শিগগিরি তৈরি হবে ৮৪টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। ইতিমধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। রবিবার মেমারিতে বিবেক চ্যালেঞ্জ ট্রফির ফাইনাল খেলার সূচনায় গিয়ে একথা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত মেমারি স্টেডিয়ামে রবিবার বিবেক চ্যালেঞ্জ ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলায় ইউনাইটেড স্পোর্টস ২–১ গোলে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসকে হারিয়ে দেয়। খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রখ্যাত খেলোয়াড় ভাস্কর গাঙ্গুলি, বিকাশ পাঁজি ও শঙ্করলাল চক্রবর্তী প্রমুখ।
খেলা শুরুর আগে ক্রীড়ামন্ত্রী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচত হন।
খেলার শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রানার্স দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত প্রাণবন্ত একটি বড়মাপের খেলা আজ দেখলাম। রবিবার ছুটির দিনে কালীঘাটের বাড়িতে বসে এখানকার করতালি শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন, বাংলায় ফুটবল এখনও বেঁচে আছে।’ তিনি বলেন, ‘একটা সময় প্রতিভা ছিল বাংলার ফুটবলের। তাই ভারতবর্ষের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, বাংলার ফুটবলকেও আগাতে হবে। একটা সময় ভারতীয় দলে ৮ থেকে ১০ জন খেলোয়াড় ছিলেন বাংলার। আর আজ দেখবেন ভারতীয় দলে ১ থেকে ২ জন খেলোয়াড় হচ্ছেন বাংলার।
ছোটবেলা থেকেই জানতাম বাঙালি মানে মাছ ভাত আর ফুটবল। আর এখন দেখছি মাছ ভাতটা আছে, কিন্তু ফুটবলটা চলে গেছে।’