বিশ্বকাপের আর মাত্র ৮ দিন বাকি। অংশগ্রহণকারী দলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ৩২টি দল ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম গ্রুপপর্বে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল শেষ ষোলতে অংশ নেবে। বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পেরু ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে ফরাসিরাই একমাত্র ফেভারিট দল। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। দলে একঝাঁক তরুণ ও স্টার খেলোয়াড়ের সমন্বয় ঘটিয়েছেন কোচ দিঁদিয়ের ডেঁসচম্পস। ফ্রান্স ছাড়া গ্রুপের অন্য ৩টি দল বিশ্বকাপে খুব একটা নিয়মিতও নয়। ফলে শেষ ষোলতে উঠতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না লেঁস ব্লু’সদের।
এপর্যন্ত বিশ্বকাপের ১৪টি আসরে অংশ নিয়েছে দলটি। এর মধ্যে নিজে দেশে আয়োজিত ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে শিরোপার স্বাদ পায় তারা। জিনেদিন জিদানের প্রায় একক নৈপুণ্যে সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। তারপর অবশ্য আর শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। ২০০২ ও ২০১০এ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়, ২০০৬ এর ফাইনাল এবং সবশেষ আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে ফরাসিরা। রাশিয়ায় পঞ্চদশবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে। গ্রিজমান,কিলিয়ান এমবাপে ও অলিভিয়ের জিরু মিলিয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগ রয়েছে দলটির। সেই সাথে রয়েছেন পল পগবা। মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই তারকার ওপরই ভরসা রাখছে ফরাসিরা। এছাড়া মেন্দি, উমতিতি, ভারানেদের দিয়ে গঠিত ডিফেন্স বেশ শক্তিশালী। দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ এই দলটির হাত ধরেই আরেকটি ফরাসি বিপ্লবের উত্থান দেখতে পারে বিশ্ব। দলটির ফিফা র্যাঙ্কিং ৭।
বাছাই পর্বে সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ইতালির মতো দলকে পেছনে ফেলে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফ্রন্ট লাইনে এসেছে ফরাসিরা। কিন্তু বাছাইপর্বে গোল সংকটে ছিলেন তাদের ফরোয়ার্ডরা ?? ম্যাচে তারা গোল পেয়েছেন মাত্র১৮টি। অবশ্য, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছে তারকা স্ট্রাইকারের ছড়াছড়ি। অ্যান্তোইন গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরু, ওসমান দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের গোলখরা ঘুচলে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতেই পারেন ফ্রান্সের সমর্থকরা।
শিরোপা জিততে মরিয়া এই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ফ্রান্স। গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপ্পে, পগবা ও অলিভিয়ের জিরুর মতো তারকা খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ট্রফি এনে দেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ফ্রান্স সমর্থকদের।