মর্যাদার লড়াই ছিল, সেইসঙ্গে ছিল অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার তাগিদও। সেই টান টান উত্তেজনার ভোটে বিহারের জোকিহাটে নীতিশ কুমার-বিজেপির জোটকে ঘোলখাইয়ে ছাড়লেন লালু প্রসাদের ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
তার পর জয়ের মুকুট পরে তেজের সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, “লালুজি বিচারধারা নয়, একটা বিজ্ঞান। চাচা নীতিশজি-র জন্ম জন্মান্তর কেটে যাবে তা বুঝতে।”
তাঁর কথায়, “বিহারে লালুবাদের কাছে আজ ডাহা হারল নীতিশের সুবিধাবাদ।”
গত জুলাইতে লালু প্রসাদের সঙ্গে জোট ভেঙে আচমকাই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-র হাত ধরেছিলেন নীতিশ কুমার। অথচ ২০১৫ সালে বিহারে বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে জিতেছিল আরজেডি। জোট সঙ্গী নীতিশের আসন ছিল কম। কিন্তু ভোটের জোট সঙ্গী লালু প্রসাদকেই মসনদ থেকে সরিয়ে বিজেপিকে সেখানে বসিয়েছিলেন নীতিশ। তার পর পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। নীতিশের এই অনৈতিক কাজকেই মানতে পারেননি তাঁর দলেরই জোকিহাটের বিধায়ক শাহনওয়াজ। সংযুক্ত জনতা ছেড়ে তিনি যোগ দেন আরজেডিতে। সোমবার ওই আসনে নীতিশের প্রার্থী মহম্মদ মুর্শিদ আলমকে চল্লিশ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাস্ত করেন শাহনওয়াজ। প্রসঙ্গত, পশু খাদ্য মামলায় লালু প্রসাদ এখন জেল বন্দী। তাঁর জায়গায় আরজেডি সামলাচ্ছেন তেজস্বী। বিহারে এ দিনের ফলাফলে তরুণ তেজস্বীর নেতৃত্ব নতুন পালক জুড়ল বইকি। নীতিশ চাচার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠলেন এই ভাতিজা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিহারে এ দিনের ফলাফল বিজেপি-নীতিশের সামনে বড় অশনি সংকেত বয়ে আনতে পারে। গত লোকসভা ভোটে বিহারে ৩২ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। সেই আসন ধরে রাখাটাকম কঠিন হবে না তাঁদের পক্ষে।