মহেশতলা উপনির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বাম-কংগ্রেসের জোটের। এমনকি একদা রাজ্যের শাসক সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু দু বছর আগেও যেখানে ভালো ফল করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বামেরা, সেই জায়গায় এই ভাবে ধরাশায়ী হওয়ার কারণ কি? এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,’ মহেশতলায় ২৩ নং বুথে ভালোভাবে নির্বাচন হয়নি। তা ছাড়া ওখানে তৃণমূল ও বিজেপি আঁতাত করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি হচ্ছে, বিজেপির উত্থানে তা স্পষ্ট।’
তবে একই সঙ্গে তিনি জানান মহেশতলা নিয়ে এখনও তাঁর কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট আসেনি। এমন ফল কি কারণে হয়েছে তা রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।
যদিও বিমানবাবুর এই মন্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, পরাজয়ের পর ২৩ তা বুথে ভোট নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বিমান বাবু। নির্বাচনের পরে সেভাবে কাউকে অভিযোগ জানাতে দেখা যায়নি।
একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী পরাজয় প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে জানান, আপাতত রুটিরুজি, মজুরি, শিক্ষা, চাকরি, জীবন-জীবিকার লড়ায়ে পিছু হাঁটছে বাংলায়।
এই প্রশ্নে বামপন্থী, যারা এই লড়াইটাকেই শ্রেণী বিভক্ত সমাজের মূল লড়াই বলে মনে করে, তারাও পিছু হাঁটছে। এই বিষয়ে বামপন্থীরা নিজেদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।