উন্নয়ন বনাম বিকাশ। কে বেশি এগিয়ে? দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে আর রাজ্য এগোচ্ছে! এডুকেশন ফেয়ারের উদ্বোধন করার পরে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্য আর কেন্দ্র নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন। মোদী সরকারের চার বছর পুর্তিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন “আচ্ছেদিন আর আচ্ছেদিন নেই। দেশকে বিক্রি করার যে চেষ্টা চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার করেছে, তাতে ভারতবাসীর মাথা নত হয়ে গেছে। সমীক্ষা করলে দেখা যাবে এই রাজ্য অনেক এগিয়েছে। আর জাতীয়স্তরে বিজেপি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।”
মমতা ব্যানার্জীর সাথে নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করে পার্থ বাবু বলেন, “মোদী জমানার চার বছর আর মমতার জমানার সাত বছর দেখলেই বোঝা যাবে কে উন্নতি করেছে আর কার অবনতি হয়েছে। মমতার সাত বছরে রাজ্যের উন্নতি হয়েছে আর মোদীর চার বছরে দেশ পিছিয়ে গেছে। যারা পারফর্ম করেন তাঁদের বিচার করে জনগণ। যাঁরা চোখে দেখতে পান তাঁরা দেখুন সাত বছরে এত বাধা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় সরকারের এত আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ভালো কাজ করেছে। আর অন্যদিকে দেশে কয়েক হাজার কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
দেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। যে পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরির কথা বলা হয়েছিল তার কিছুই হয়নি। বলেছিল বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে ১৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেক সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। ১৫ পয়সাও দেয়নি। নোটবন্দীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কার্যত গৃহবন্দী করে রেখেছিল।”
পঞ্চায়েতে জয় প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমাদের রাজ্যে কোথাও যদি উন্নয়ন না পৌঁছে থাকে সেটা আমরা দেখব। আমাদের আরও ভালো কাজ করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি রাজ্যের মানুষ যে আস্থা রেখেছে তাতে আমাদের নতুন দায়িত্ব এসেছে। মা-মাটি-মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে।”
কর্মসংস্থান এবং গ্রামীন উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন” গ্রামীণ অর্থনীতি যেভাবে বেড়েছে, কর্মসংস্থানের যে সুযোগ এসেছে তা এক কথায় অকল্পনীয়। বাংলার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে রাজ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগ্রহ বেড়েছে। বাংলার কোনও ছেলে-মেয়ে অন্য রাজ্যে যেতে চাইছে না।”
বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পার্থর উত্তর, “বিজেপি যা বলছে, আমরা সেটা মনে করিনা। বরং ওরা সাত বছরের সঙ্গে তুলনা করুক এবং কেন্দ্র তাদের নিজেদের ছবি দেখুক। পরিসংখ্যান কি বলবে জানিনা, প্রকৃত অর্থনীতির দিকে থেকে রাজ্য অনেক এগিয়েছে। যেখানে জাতীয় স্তরে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে।”