বহু বছর আগে, এইচ জি ওয়েলস একটি অত্যাশ্চর্য টাইম মেশিনের কথা লিখেছিলেন তাঁর বই, ‘দ্য টাইম মেশিন’- এ, যাতে চড়ে নাকি অতীতে ফিরে যাওয়া যায়। আর আজ সেটাকেই সত্যি প্রমান করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিছু লোক, যারা টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে ফিরে গিয়ে বদলাতে চাইছে ইতিহাস, কটাক্ষ প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির।
সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে লেখা একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে আনসারি বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা এর আগেও বহুবার ঘটেছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। তবে সেগুলোর কোনটাই সফল হয়নি।
ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আনসারির এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবহ। কারণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের বিকৃতির প্রচেষ্টার অভিযোগে ইদানিং তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে প্রকাশ, এই উদ্দেশ্যে গোপনে ১৪জন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে সরকার।
পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অন্তর্ভুক্তির কারণ একটাই -আর তা হল অতীতকে সঠিভাবে জানার জন্য, অতীতের ঘটনাবলী থেকে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা নেওয়ার জন্য। তাই পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা কোনমতেই কাম্য নয়, বলেন আনসারি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। যে কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাদের মধ্যে এক অন্যতম ব্যক্তিত্ব হলেন জওহরলাল নেহরু, বলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বকে কিন্তু বরাবরই নেহরু-গান্ধী পরিবারের সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে। আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের অবদানের পাশাপাশি সাভারকর, দীন দয়াল উপাধ্যায় এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বের মতাদর্শকেও সমানভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা।