মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে পাহাড় আগে কখনও দেখেনি এমন উচ্ছাস। মূখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে এবার মোর্চা, জিএনেলেফ ও তৃণমূল সমর্থকরা রাজনৈতিক ভেদ ভুলে একযোগে স্বাগত জানাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাহাড়ে তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে। পাহাড়ের মানুষ রাজনৈতিক রং ভুলে এই ভাবে আগে কখনও উচ্ছাস দেখায়নি। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী কালিঙপং সফরে যাচ্ছেন। তার আগেই এয়ারপোর্ট থেকে কালিঙপং পর্যন্ত পাহাড়ের রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিংএ। পাহাড়ের উন্নয়নে সমস্ত রাজনৈতিক দল যে একযোগে কাজ করছে তারই প্রমাণ স্বরূপ পাহাড়ের মানুষের এইরূপ উদ্যোগ। উল্লেখ্য, গত মার্চে পাহাড়ে ছিল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ” আপনারা পাহাড়ে শান্তি ফেরালে আমাদের সরকার সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে। ইতিমধ্যেই গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এডমিনিষ্ট্রেশন সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে। পাহাড়ের মানুষের পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে জল প্রকল্পের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর আলাদাভাবে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়াও রাস্তাঘাট, নিকাশি সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজেও নগরোন্নয়ন দফতর আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করেছে। চলতি বছর মার্চ মাসেই পাহাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথমবার হিল বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। কৃষি, উদ্যান প্রতিপালন, খাদ্য প্রতিক্রিয়াকরণ, আঁকিড প্রতিপালন সহ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে জোর দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এসবের ফলে স্বরূপ পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে মা-মাটি-মানুষের সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একযোগে কাজ শুরু করেছে। লেপচা, ভুটিয়া, গোর্খার মতো জনজাতি নিজেদের রাজনৈতিক রং ভুলে উন্নয়নের প্রতীক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাবে। আগামী সোমবার কালিঙপং এর রাস্তায় ফুল হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় রয়েছে একযোগে সমস্ত রাজনৈতিক দল।