একুশের ভোটে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই যেন কাল হল সিপিএমের! আগেই বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল তারা। এবার সদস্য সংখ্যায় ধস নামল সিপিএমের ছাত্র সংগঠনেও। একবছরে দু’লক্ষেরও বেশি সদস্য সংগঠন ত্যাগ করেছে বলে স্বীকার করল এসএফআই। সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে পেশ করা প্রতিবেদনে এমনই করুণ চিত্র সামনে এসেছে। সংগঠনকে ক্যাম্পাসমুখী করা যায়নি বলেই পড়ুয়াদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনের শুরুতেই স্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথমে লোকসভা ভোট এবং তারপর বিধানসভাতেও খাতা খুলতে পারেনি বামেরা। আলিমুদ্দিনের এই রক্তক্ষরণের ছায়া এবার ছাত্র সংগঠনেও। তাদের প্রতিবেদন থেকেই এ কথা স্পষ্ট। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে নবদ্বীপে আয়োজিত সম্মেলনে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়, তার ৭০ নম্বর পাতায় জেলাভিত্তিক সদস্য সংখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, গত একবছরে প্রায় আড়াই লক্ষ সদস্য কমেছে সংগঠনের। ১৯-২০ সালে সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৬৫। আর ২০-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ১৯।
সদস্য কমার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছে সংগঠনের নেতৃত্ব। প্রতিবেদনের ২১ নম্বর পাতায় লেখা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে যখনই সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্ঠা হয়েছে তখনই ভোটে পার্টির বিপর্যয় ছাত্র সংগঠনেও প্রভাব পড়েছে। ছাত্র নেতৃত্বকে ক্যাম্পাসমুখী করা যায়নি। বকলমে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা কমার কারণ হিসাবে আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ছাত্র নেতারা। এমনকী কোভিড পরিস্থিতিতে ‘রেড ভলেন্টিয়ার’ নামে কাজ করা হলেও গ্রামাঞ্চলে বা শহরের দরিদ্রদের মধ্যে তার কোনও প্রভাব পড়েনি বলে প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে। রাস্তায় নেমে একাধিক আন্দোলন হলেও একশ্রেণির নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অনেকক্ষেত্রেই ধাক্কা খেয়েছে।