উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুতেই বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরের পর আবার ২০২১-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং-এ পা রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কিন্তু সেটাও সুখকর হল না। ঘুম স্টেশনের কাছে দিলীপ ঘোষকে দেখানো হল কালো পতাকা।
২০১৭র অক্টোবর। দার্জিলিং-এ রীতিমত ঘাড়ধাক্কা খেতে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। সে সময় বিনয় তামাঙ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কী হয়েছিল ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর? সে বার দুদিনের দার্জিলিং সফর ছিল দিলীপের। প্রথম দিন ৪ অক্টোবর থেকেই তাঁর সফর নিয়ে উত্তাপ ছড়ায় পাহাড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর হয় সটান হামলা। দার্জিলিং জেলা সদরে ‘গোর্খা দুখ নিবারণী সমিতি’র হলের সামনের সভাস্থলে প্রথমে হামলা চবে। দিলীপের মাইক কেড়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দার্জিলিং সদর থানায় অভিযোগ জানাতে রওনা হন। তখনই তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় রাস্তার উপর। দিলীপের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা এবং দার্জিলিঙের বিজেপি নেতা রাকেশ পোখরেলকে রাস্তায় ফেলে মারধরও করা হয়। রাকেশকে লাথি মারতে থাকে জনতা। দিলীপ জখম না হলেও বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
এবার আবার সেই দার্জিলিং। পরিবর্তন যাত্রার কর্মসূচির জন্য উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাংসদ অর্জুন সিং। দিলীপ ঘোষ জানান, পাহাড়ে একটি যাত্রা রয়েছে। কালিম্পং, দার্জিলিং ,কার্শিয়াং তিনটে বিধানসভা পরিক্রমা করে শিলিগুড়ির সঙ্গে মূল যাত্রার সঙ্গে ওই যাত্রা মিশবে। একটি জনসভা রয়েছে দার্জিলিঙে। তবে সেই সফরও শুরু হল কালো পতাকা দেখে!
এ দিন বিমল গুরুং প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘বিমল গুরুং-কে ওখানে বিরক্ত করার জন্য আমাদের পেছনে লাগানো হচ্ছে।’ পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ এখন বদলে গিয়েছে। সেই সময় বিজেপি-র সঙ্গে থাকা বিমল গুরুং এখন তৃণমূলের সঙ্গে। আগে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে গলা ফাটালেও এখন গুরুং চাইছেন ফের মুখ্যমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।