প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ও ঋষভ পন্থের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই সর্বজনবিদিত। কিন্তু সেটা কখনওই তাঁদের বন্ধুত্বের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। এমনটাই দাবি করলেন ঋদ্ধি স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা খুব ভালো বন্ধু। সেটা পন্থকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন। প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার জন্য আমরা উভয়েই চেষ্টা করি। এটা দলের পক্ষে ভালো। তবে এই লড়াই কখনও আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে আঁচড় কাটে না। কারণ আমরা বুঝি, দল তাকেই খেলাবে, যে ভালো করবে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
২০১৮-১৯ ১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। তবে এবারের সাফল্যকে সামান্য হলেও এগিয়ে রাখলেন ঋদ্ধিমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার থেকে কম আনন্দ নয়। প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর আমরা দারুণ কামব্যাক করেছি। শেষ তিনটি টেস্টে আমি মাঠে না নামলেও দলের লড়াইয়ে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল, ব্রিসবেনে আমরা প্রথম একাদশ নামাতে পারব না। সেখান থেকে এভাবে ম্যাচ ও সিরিজ জয় কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছিল দলের প্রত্যেক সদস্য। আমাদের প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি। অনেকে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও কখনও মনে হয়নি দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। গাব্বায় ঋষভের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস, কখনও ভোলার নয়।’
ব্যাট হাতে ঋষভ প্রত্যাশা পূরণে সফল হলেও, উইকেট কিপিংয়ে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই ব্যাপারে সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধি বলেছেন, ‘ক্লাস ওয়ানে কেউ বীজগণিত শেখে না। ধাপে ধাপে সবাই উন্নতি করে। ঋষভ সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সময়ের সঙ্গে কিপিংয়েও উন্নতি করবে। ও এখন অনেক পরিণত। সেটা পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়েই প্রমাণ করেছে। টি-২০ এবং ওয়ান ডে সিরিজে রাহুল খেলায় ওকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। তাতে কিন্তু ঋষভ ভেঙে পড়েনি। বরং যখন সুযোগ এসেছে, সেটা কাজে লাগিয়েছে। এতেই বোঝা যায়, ও কত বড় মাপের পেশাদার ক্রিকেটার।’