কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লীতে গত ২ মাস লাগাতার আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। যেমন আজ বাংলায় পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। তার জেরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে দুই নম্বর জাতীয় সড়কে। গলসি থেকে যানজট একদিকে দুর্গাপুর পর্যন্ত অন্যদিকে বর্ধমান ছাড়িয়ে শক্তিগড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
এরফলে যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে অগুনতি পণ্য বোঝাই ট্রাক জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। এই অবরোধের ফলে দীর্ঘক্ষন জাতীয় সড়কে যানজট ছিল। ১২ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে তা তুলে নেওয়ার ফলে লাগামছাড়া যানজটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে এই জাতীয় সড়ক।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে ও তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হবে বলে কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করেছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। সেই মতোই এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় অবরোধ শুরু হয়। জাতীয় সড়কের পাশে মঞ্চ বাঁধা হয়। দলের নেতা তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অবরোধ থেকে কর্মীদের সরে আসার কথা বললেও তাঁরা তাতে কর্ণপাত করেননি।
এদিন সিদ্দিকুল্লা বলেন, আগে আলোচনা হবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তাঁর সে কথা কানে তোলেননি কর্মীরা । কর্মীদের অনেকেই সকাল নটা থেকে প্রথমে কলকাতা যাওয়ার লেন ও পরবর্তী সময়ে দুর্গাপুরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করেন। এরপর কর্মীদের সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে জাতীয় সড়কের ওপর একটি গাড়ির বনেটে বসে এ দিনের আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দিয়ে মানুষকে অসুবিধার মধ্যে ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কৃষক বিরোধী নয়া কৃষি আইন অবিলম্বে বাতিল করার পথ প্রশস্ত করাই আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, নয়া কৃষি আইনের ফলে মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুতদারদের ঘরে ঢুকে যাবে। অনেক বেশি দামে বাসিন্দাদের চাল, ডাল কিনতে হবে। এতে মজুতদারদের মুনাফা বাড়বে ।দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।