ভোজন রসিক বাঙালি তথা কলকাতাবাসীর কাছে চায়না টাউন একটি সুপরিচিত জায়গা। খাস কলকাতার ট্যাঙরা অঞ্চলের এই এলাকার নাম সর্বজনবিদিত। সেখানেই রয়েছে এক প্রাচীন কালী মন্দির। যেখানে সারা বছরই হয় মায়ের পুজো। তবে আজ দীপান্বিতা কালীপুজোর বিশেষ তিথিতে মাতৃ আরাধনা বিশেষ রূপ পায়। দীপাবলির দিনে কালীপুজো উপলক্ষে প্রায় ২০০০ মানুষ সমবেত হন এই মন্দির চত্বরে। এবং চমক হল এখানে ঠাকুরকে ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় চাউমিন, চপসি, চিলি চিকেনের মতো বিশুদ্ধ চীনা খাবার। এ যেন চাইনিজ সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্মিলন। করোনা কালে এবার অবশ্য আড়ম্বর অনেকটাই কম। নিয়ন্ত্রণ করা হবে ভিড়ও। কিন্তু রীতি মেনে এবারও চাইনিজ ভোগ পাবেন মা।
প্রসঙ্গত, এই মন্দির গড়ে ওঠার ইতিহাসও বড় কৌতূহলোদ্দীপক। প্রায় ৬০ বছর আগে এখানে একটি সিঁদুর মাখা কালো পাথরকে পুজো করা শুরু হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, একবার একটি বছর দশেকের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে এই পাথরটির কাছে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা। চিকিৎসকরা নাকি চূড়ান্ত জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন শিশুটির ব্যাপারে। উপায়ান্তর না দেখে শিশুটির বাবা-মা পাথরটির সামনে শিশুটিকে রেখে বিরামহীন পূজার্চনা শুরু করেন। তারপরেই ঘটে মির্যাকল। ছেলেটি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই এই ঠাকুরের খ্যাতি ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। পাথরটিকে কেন্দ্র করে গ্রানাইটের মন্দিরটি গড়ে ওঠে বছর ১২ আগে। বিশুদ্ধ হিন্দু মতেই হয় পূজা আর পুষ্পাঞ্জলি। তবে ভোগ দেওয়ার সময়ে চলে আসে চাইনিজ সংস্কৃতির ছোঁয়া।