পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত সীমানায় দু-দেশের কেউই এর মধ্যে আর নতুন করে সেনা পাঠাবে না। সোমবার দু-দেশের সেনাবাহিনীর সিনিয়র কম্যান্ডারদের মধ্যে ১৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠকে দু-পক্ষই এ বিষয়ে সহমত হয়েছে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লী ও বেজিং-এর তরফে যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপাতত লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখায় আর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাবে না ভারত এবং চীন। সেইসঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে, সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝি কমাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও বাড়াবে দু’পক্ষ। যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমস্যা সমাধানে দু-দেশের প্রতিনিধিরাই নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। সমস্যার গভীরে গিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও, বর্তমানে মোতায়েন থাকা দু-দেশের সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত বৈঠকে হয়নি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে চীন দাবি করে, চূশূলে কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক পাহাড় চুড়োগুলো থেকে ভারতীয় বাহিনী সরিয়ে নিতে হবে। ভারতের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, প্যাংগং লেক বরাবর ফিঙ্গার ফোর থেকে ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত এলাকা ফাঁকা করে দিতে হবে চীনা বাহিনীকে। কিন্তু, কেউই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি। তবে, গত তিন সপ্তাহে চূশূল সেক্টরে অন্তত তিন বার গুলি চলার পর যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা আর বাড়তে দেওয়া হবে না বলে ভারত-চীন উভয়ই সম্মত হয়েছে।
একই সঙ্গে দু-দেশের তরফে জানানো হয়, ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোয় এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বৈঠকে যে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা রূপায়ণে দু-দেশই ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে। বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এদিন দাবি করেন, উত্তেজনা প্রশমনে দু’ পক্ষই মত বিনিময় করেছে।
দু-দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আর যাতে না বাড়ে, তার জন্যই আর অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে না সীমান্তে। একতরফা ভাবে স্থলভাগের পরিস্থিতি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকবে দুই দেশ। পরিস্থিতি জটিল হতে পারে, এমন কোনও পদক্ষেপ তারা করবে না। ভারত ও চীনের কম্যান্ডাররা এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন।