রাজ্যে করোনা জব্দ করতে সঠিক তথ্য আসা প্রয়োজন। তাই একা বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের সঠিক তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। করোনা মোকাবিলায় কিছু তথ্য পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর পুরনিগমকে। মূলত বহুতল, আবাসনগুলি থেকে করোনা উপসর্গ সংক্রান্ত তথ্য উঠে আসছে না।
স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, “কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগরের একাকী, নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। ৩-৪ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় ধার্য করা হয়েছে। বহুতল ও আবাসনের অ্যাসোসিয়েশনগুলি একাকীদের সমস্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট থানা অথবা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে দেবেন বা স্বাস্থ্য ভবনে জানাবেন। ৩ শহরের কল সেন্টার ভিত্তিক পরিষেবা আরও বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে। গ্রাম, মফঃস্বল, বস্তি অঞ্চলের করোনা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের সমীক্ষা থেকে৷ কিন্তু বহুতল আবাসনে সেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে একাকী যেসব প্রবীণ নাগরিকরা রয়েছেন তাঁদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। তাই সেনশাস করে সঠিক তথ্য এলে করোনা মোকাবিলা সহজ হবে।”
করোনা রক্তচক্ষু তীব্র হতে তিন শহরের নিঃসঙ্গ, একাকী থাকা বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের সমস্যা বাড়ছে। সমাধান সূত্র খুঁজতে শুক্রবার বিশেষ বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভার কাউন্সিল চেম্বার হলে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক গোষ্ঠী চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুর কমিশনার, জেলা শাসক, পুলিশ কমিশনার। এছাড়া ছিলেন বিধাননগর কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও পুর আধিকারিকরা।