তিনি পুলিশ আধিকারিক। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি। নাম স্বরূপকান্তি পাহাড়ি। চোর-ডাকাত বা গুন্দাদের শায়েস্তা করাই তাঁর কাজ। তবে এখন তিনি সে সব ছেড়ে অন্য ভূমিকায় নেমেছেন। অদৃশ্য এক মৃত্যুদূতকে বাগে আনার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই লড়াইয়ে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে তিনি দিনরাত কাজ করে চলেছেন। স্বরূপবাবু ডিউটি করছেন একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে এখন স্বরূপবাবু ফ্রন্ট লাইনে। অন্য ভূমিকায়। তাঁর পোশাক পাল্টে গেছে। তিনি সারাক্ষণ চিকিৎসকের পোশাকেই ডিউটি করছেন। মাথায় টুপি, গায়ে আছে নীল অ্যাপ্রন। হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক। দেখলে মনে হবে কোনও চিকিৎসক। নতুবা চিকিৎসাকর্মী। আসলে তিনি পুলিশ আধিকারিক। বর্তমানে তিনি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত কোচপুকুর এলাকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সারাদিন ধরে কাজ করছেন। সারাক্ষণই রয়েছেন সেখানে।
চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের নতুন ভবন তৈরি হয়েছে নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানের মধ্যে। যদিও সেই ভবনটি ভাঙড়ের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অধীনে পড়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সেখানে তৈরি করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। দু’দিন আগেই এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তখনও কলকাতা পুলিশের আধিকারিক স্বরূপকান্তি পাহাড়ি নীল অ্যাপ্রন পরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে সচেতন থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন।